বিতর্কের মধ্যেও লাভের অঙ্ক তুলে নিচ্ছে ‘আদিপুরুষ’
তর্ক-বিতর্ক, প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ছবির এই সাফল্য নজিরবিহীন। গত ১৬ জুন মুক্তি পেয়েছে রামায়ণ-আশ্রিত ‘আদিপুরুষ’। তেলুগুভাষী কিছু অঞ্চলে এই ছবি নিয়ে দেখা গিয়েছে ব্যাপক উন্মাদনা। অনুরাগীরা জমায়েত করে পটকা ফাটিয়েছেন। ছবিতে রাম চরিত্রে প্রভাসের রাজকীয় প্রত্যাবর্তনে এই উদ্যাপনের কারণ। প্রেক্ষাগৃহে হনুমানের জন্য সংরক্ষিত আসন নিয়েও জোরদার চর্চা সমাজমাধ্যমে। আবার, হনুমানের মুখের ভাষা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
অতিমারি-পরবর্তী হিন্দি ছবির দুনিয়ায় এটি তৃতীয় বৃহৎ ‘ওপেনিং’। এর আগে রয়েছে ‘পাঠান’ এবং ‘কেজিএফ ২’। ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হওয়া এই ছবি প্রভাসের শেষ দু’টি অসফল ছবি ‘রাধে শ্যাম’ এবং ‘সাহো’-র তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল।
ভিএফএক্সের কাজ নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার ফলেই ‘আদিপুরুষ’- এর খরচ বেড়ে গিয়েছিল। মুক্তির দিন পিছিয়ে গিয়েছিল, ভিএফএক্সের কাজ নিখুঁত করতে নতুন করে বিপুল অর্থ ঢালতে হয়েছিল। কিন্তু ঘষামাজা করার পরেও পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত হয়নি ভিএফএক্সের খুঁটিনাটি— ছবি দেখার পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া তেমনটাই।