মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে শোনা গেল রবীন্দ্রনাথের কবিতা
মোদীতে মুগ্ধ মার্কিন কংগ্রেস। এক ঘণ্টার বক্তকৃতায় ৭৯ বার করতালি দিয়ে মোদীর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেসম্যানরা। ১৫ বার উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষের সদস্যরা। এমনকি যে প্রমিলা জয়মালা প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই রাষ্ট্রীয় সফরের বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁকেও হাততালি দিতে দেখা গিয়েছে। বক্তৃতার পর, মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর অধ্যক্ষ কেভিন ম্যাকার্থি-সহ বহু মার্কিন আইনপ্রণেতাকে লাইন দিয়ে মোদীর অটোগ্রাফ নিতে দেখা যায়। বক্তৃতার সময় মাঝে মাঝেই উঠেছে ‘মোদী-মোদী’ স্লোগান। নিজের লেখা একটি কবিতাও শোনান প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে হিন্দিতে তারপর কবিতাটির ইংরাজী অনুবাদের মধ্য দিয়ে হাল না ছাড়ার বার্তা দেন তিনি।
State Dinner-র অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, "১৭৯২-তে প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটন বঙ্গোপসাগরের তীরে কলকাতায় প্রথম কনস্যুলেটে খোলেন। এই শহরের সঙ্গে মিশে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ একাধিক নোবেলজয়ীর কাজ। যা ভারতের অন্য কোনও শহরে বিরল। আর সবচেয়ে বেশি করতে বলতে হবে কবিগুরুর কথা। ভারত ও বাংলাদেশে দু'টি রাষ্ট্রের জাতীয় সংগীতের স্রষ্টা তিনি।"
এর পাশাপাশি, ভারতীয় উপমহাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্র সাহিত্যের অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। "বিশ্বকবির চিন্তা ভাবনা মার্কিনিদের অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর রচনা ভারতীয় সাহিত্যের ঐতিহ্য হিসেবে রয়ে গিয়েছে।
এর পরই ভারত মার্কিন সুসম্পর্কের প্রসঙ্গ তোলেন বাইডেন। তিনি বলেন, "আমরা দু'টি দেশই নিয়তির ডাক শুনতে পাচ্ছি। যে স্বপ্ন আমরা দেখেছি, সেদিকে বিশ্বকে নিয়ে যাওয়া জন্য নিরলসভাবে আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। বৃহত্তর সমৃদ্ধি, স্বাধীনতা, সাম্য আর বিশ্বের ভালো একটি ভবিষ্যত -- এগুলিকে মাথায় রেখেই কাজ করব আমরা।