মিরিকের কাছে এক চিলতে সবুজ গ্রাম
গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছে বাঙালির। রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিও ছুঁয়ে গিয়েছে। তবে এই রাজ্যে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে গ্রীষ্মকালে গেলেও আরাম মিলবে। হ্যাঁ, সেই তালিকায় অবশ্যই দার্জিলিং রয়েছে। কিন্তু প্রতি বছর দার্জিলিং বেড়াতে গিয়ে আপনিও নিশ্চয়ই বিরক্ত।ছোট্ট উইকএন্ডেই ঘুরে নিতে পারেন এই পাহাড়ি গ্রাম।
মিরিকের খুব কাছেই অবস্থিত বানকুলুং। আসলে মিরিকের বাসিন্দারা বানকুলুংকে ব্যবহার করে চাষ জমি হিসেবে। মিরিকের গ্রাম থেকে সহজেই পায়ে হেঁটে পৌঁছানো যায় বানকুলুং। মিরিক থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই বানকুলুং। আর যদি নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে আপনি বানকুলুং যেতে চান, তাহলে দূরত্ব মাত্র ৪৮ কিলোমিটার। তবে দুধিয়া হলে বানকুলুং গেলে একটু কম সময় লাগে। মিরিক হয়েও বানকুলুং যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে আগে সৌরেনি যেতে হবে, সেখান থেকে বানকুলুং।
বানকুলুংয়ের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে বালাসন ও মুরমাহ নদী। নদীর জলে পা ডুবিয়ে কাটাতে পারেন গ্রীষ্মের ছুটি। যাঁরা শহুরে কোলাহল ছাড়িয়ে নিরিবিলে ছুটি কাটাতে চান, তাঁদের জন্য আদর্শ এই ডেস্টিনেশন। বানকুলুংয়ে যে দিকে তাকাবেন সবুজের সৌন্দর্য আপনার চোখ জুড়িয়ে দেবে। তার সঙ্গে রয়েছে খোলা চাষ জমি। চোখ জুড়িয়ে দেওয়ার মতো এখানে রয়েছে ধানক্ষেত। সেই চাষ জমিতে ঘুরে গেলে নাকে গন্ধ ভেসে আসবে দারুচিনির। কারণ এই বানকুলুংয়ে দারুচিনিও চাষ হয়।
পায়ে হেঁটেই ঘুরে নিতে পারেন গোটা গ্রাম। চাষ জমি, নদী, সবুজ খোলা মাঠ—এই সব নিয়েই বানকুলুং। তার সঙ্গে রং-বেরঙের পাখি দেখারও সুযোগ রয়েছে। যাঁরা প্রকৃতির কাছাকাছি ছুটি কাটাতে চান তাঁরা এই গরমে ঘুরে যেতে পারেন বানকুলুং থেকে। দার্জিলিংয়ের এত কাছে যাচ্ছেন আর চা বাগানের দেখা পাবেন না, তা কী করে হয়। বানকুলুং আপনাকে সেই সুযোগও দেবে। গ্রামের শেষ প্রান্তেই রয়েছে মুরমাহ চা বাগান। তার আরেকটু দূরে রয়েছে গয়াবাড়ির চা বাগান। হাতে সময় থাকলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন দুধিয়াও। আর কাছেই রয়েছে একটি মঠ। সেখানেও ঘুরতে যেতে পারেন।