অ্যালোভেরা তেলের ছোঁয়াতেই চুল হবে তরতাজা
ত্বক আর চুলের যত্নে জুড়ি মেলা ভার অ্যালোভেরার। অ্যালোভেরার জেল থেকে জুস সবই খুব উপকারী। স্বাস্থ্য রক্ষাতেও এই অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। শ্যাম্পু করার পর চুল রুক্ষ্ম হয়ে যাচ্ছে, চুল পড়ে যাচ্ছে? চিন্তা নেই, কাজে লাগান অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা গাছের পাতা থেকে জেল বের করে নিন। এবার এই জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন আর দিন সামান্য লেবুর রস। শ্যাম্পু করার পর এই জেল মাথায় ভাল করে লাগিয়ে নিন। এরপর ১০ মিনিট পর মাথা ধুয়ে নিন। চুল থাকবে নরম সেই সঙ্গে চকচকও করবে। কোথাও গেটে গেছে, পুড়ে গেছে? অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আরাম পাবেন। সেই সঙ্গে দাগও সহজে দূর করা যাবে।
চুল আর ত্বকের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করে দেয় অ্যালোভেরার ফিউশন তেল। এই তেল চুলকে গোড়া থেকে শক্ত করে, স্ক্যাল্পে যে কোনও ছত্রাকের সংক্রমণ রুখে দেয়। এছাড়াও চুল অনেক নরম করে, চুল সহজে পড়ে যায় না। এমনকী চামড়ায় যদি কোনও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত থাকে তাও সারিয়ে দিতে পারে অ্যালোভেরার তেল। তবে আজ নয়, ১৮০০ দশকের গোড়ার দিক থেকেই অ্যালোভেরা তেলের প্রচলন শুরু হয়। পোড়া, ক্ষত, কোষ্ঠকাঠিন্যের নিরাময়েও ব্যবহার করা হয় এই অ্যালোভেরা তেল।
সোয়াবিন তেল, অলিভ অয়েল, জোজোবা অয়েল বা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন খাঁটি অ্যালোভেরা জেল। এবার তা ভাল করে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি অ্যালোভেরা তেল। এই তেলের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। খুশকির সমস্যা সাত দিনেই দূর হবে। সেই সঙ্গে চুল থাকবে ঝকঝকে। এমনকী পাকাটুলও হবে না। শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য খুবই উপকারী হল যালোভেরার তেল। রোজ মাখলে চুল লম্বাও হবে।