স্নানের পর চুল চায়ের লিকারে ধুলে ফিরবে সজীবতা
চা যেমন এক লহমায় আমাদের সব ক্লান্তি দূর করে দেয় তেমনই চা আমাদের চুলের জন্যেও খুব ভাল। চায়ের মদ্যে থাকে ট্যানিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- যা চুলের সজীবতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। তবে এক্ষেত্রেও সেই কার্যকরী হল লিকার চা। লিকার চা যেমন শরীরের জন্য ভাল তেমনই লিকার চা চুলের জন্যেও খুব উপকারী। শ্যাম্পুর পর যদি লিকারে চুল ধুতে পারেন তাহলে তাহলে চুলে যেমন শাইনিং ভাব থাকবে তার সঙ্গে একটা ব্রাউনিশ ফিল আসবে। প্রকৃতির নিয়মে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চুলে পাক ধরতে থাকে। বার্ধক্যের ছাপ পড়ে শরীরে। কালো চুলও সাদা হয়ে যায়। কিন্তু অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় যে, সময়ের আগেই কারও কারও চুলে পাক ধরতে শুরু করেছে।
বেশিরভাগই চুলে রং করার জন্য কেমিক্যাল রং ব্যবহার করেন। আর এই কেমিক্যাল চুলের জন্য একেবারে ভাল নয়। এতে চুল তাড়াতাড়ি সাদা হয়ে যায়। এমনকী ত্বকের নানা সমস্যাও হতে পারে। আর তাই প্রাকৃতিক উপায়েই চুল রং করুন।
চায়ের লিকারে প্রচুর পরিমাণে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে, যা ধীরে ধীরে চুলের রংকে গাঢ় করে তুলতে পারে। একটি পাত্রে লাল চা বানিয়ে নিন।
এক্ষেত্রে, ৬ টেবিল চামচ চা ব্যবহার করবেন। কড়া চা বানিয়ে নিতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে চা ঠান্ডা করে নিন। এরপর তা ঠান্ডা করে চচুল ধুয়ে নিতে হবে।
চায়ের লিকার আর ব্ল্যাক কফি একসঙ্গে মিশিয়ে চুল ধুলেও চুলে খুব সুন্দর একটা রং ধরে। চুল যেমন উজ্জ্বল লাগে তেমনই পাকা চুলেরও কোনও রকম সমস্যা থাকে না। কী ভাবে বানাবেন এই চায়ের লিকার-
একটি পাত্রে ৩ কাপ জল নিতে হবে। তার মধ্য়ে ৩ টেবিল চামচ চা মেশাতে হবে। সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ কফিগুঁড়ো মিশিয়ে দিন। অন্তত ৫ মিনিটের জন্যে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তারপর আঁচ বন্ধ করে দিন। ঠান্ডা করে নিন। মিশ্রণ ঘন হয়ে যাবে। হেয়ার কালার ব্রাশের সাহায্য়ে চুলে লাগান। অন্তত ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর চুল ধুয়ে নিন।