অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সময় শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়া মরে যায়। সংগৃহীত ছবি
২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে ডাক্তাররা আমাদের অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করে থাকেন। শুধু তা-ই নয়, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সও যে সারা বিশ্বে চোখ রাঙাচ্ছে, সেটাও মনে করিয়ে দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বলতে আসলে যে বিষয়টা বোঝায়, সেটা হল- কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। এ ছাড়া বারবার পুরোনো প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করা, ডাক্তারবাবুর প্রেসক্রাইব করা ডোজ সম্পূর্ণ না-করা, প্রেসক্রাইব করা ডোজ সঠিক পরিমাণে না-নেওয়া এবং সময়মতো ডোজ না-খাওয়া- এই সব কারণকেও অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার হিসেবে গণ্য করা হয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আবহে কথায় কথায় মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলে চলবে না। ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে বলে যদি চিকিৎসক মনে করেন, তবেই রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন তিনি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, কোভিডের পাশাপাশি অন্য রোগও রোগীর শরীরে বাসা বাঁধছে। সে ক্ষেত্রে স্টেরয়েডের ব্যবহার কম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এই বিশেষ ওষুধটি প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছে। এই ওষুধের পিঠে ভর দিয়েই মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। কমেছে সংক্রমণ থেকে মৃত্যু ভয়। তবে আমাদের বেশকিছু ব্যবহার এই রোগে আমাদের রোজ ভোগাচ্ছে। ডা: এর মতে, আমাদের অ্যান্টাবায়োটিক খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। তারপরই খেতে হবে অ্যান্টিবায়োটিক। কারণ এভাবে অবিবেচকের মতো অ্যান্টিবায়োটিক খেতে থাকলে আর আগামীদিনে কোনও অ্যান্টিবায়োটিকই ব্যবহার করা যাবে না। এখনই ফার্স্ট লাইন অব ড্রাগ অনেক ক্ষেত্রেই কাজ করে না। আগামীদিনে সমস্যা আরও জটিল হবে। তখন হাতে থাকবে না কোনও বিকল্প।