সপ্তাহে ৭ দিনই এই প্যাক পায়ের পাতায় লাগান
শীত মানেই সময় হয় পাতা খসার। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ নেই বললেই চলে। আবহাওয়া শুষ্ক, সঙ্গে রোদ-ধুলো, দূষণ তো আছেই। শীতের দিনে ত্বকের হাল একেবারেই খারাপ হয়ে যায়। বাইরে বেরোলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। যতই ক্রিম, লোশন মুখে লাগানো হোক না কেন মুখ রাতে পরিষ্কার করে ঘুমোতে ভুলবেন না। সানস্ক্রিন মেখে বাইরে বেরোলে দূষণ, রোদে, ধুলোতে ত্বকের ক্ষত হয়। সেই সঙ্গে পোরস গুলি বন্ধ হয়ে যায়।
যাঁরা ঢাকা জুতো পরেন না তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয় অনেক বেশি। অধিকাংশেরই ধারণা শীত বাদে অন্য সময় পা ঢাকা জুতো পরার কোনও দরকার নেই। সারাদিনে আমাদের যাবতীয় অত্যাচার চলে এই পায়ের উপরে। এবার যদি পায়ের যত্ন ঠিক করে না নেওয়া হয়, তা হলে পা ফেটে যায়। পায়ের চামড়া শুকনো হয়ে যায়। চামড়া উঠতে শুরু করে। পা শুকনো হয়ে গেলে দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। অনেকেরই নিয়মিত পায়ে তেল মাখার অভ্যাস নেই। সেই সঙ্গে পায়ে ট্যানও পড়ে যায় পায়ের যত্ন না নিলে। প্রতি মাসে নিয়ম করে পেডিকিওর করা সবার জন্য সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে বাড়ি থেকেই করে নিতে পারেন যত্ন।
চিনি, নারতেল তেল, কফি, লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে রাখুন। সপ্তাহে ৭ দিনই এই প্যাক পায়ের পাতায় লাগান। এতে ট্যান পড়ার সমস্যা কমবে। এছাড়াও পায়ের চামড়া নরম থাকবে। এই প্যাক লাগিয়ে পা ঘষে নিয়ে গরম জলে নুন আর শ্যাম্পু গুলে পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর লেবু দিয়ে পা ঘষে নিতে হবে। এতে যাবতীয় নোংরা-ময়লা উঠে আসবে। কফি, মুলতানি মাটি আর জল একসঙ্গে মিশিয়েও পায়ের পাতায় লাগান। এতে পা পরিষ্কার থাকবে, ট্যানও অনেক হালকা হয়ে যাবে একই সঙ্গে পা রিল্যাক্স হয়। সবশেষে গ্লিসারিন, মধু, লেবু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। পায়ের পাতায় এই প্যাক লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট।