পারদ চড়তেই ভিড় পাহাড়ে
এরই মধ্যে গরম অসহ্য লাগতে শুরু করেছে। দিনদুপুরে রাস্তাঘাটে বেরতে হলে মনে হচ্ছে শাস্তি! স্বস্তি মিলছে না বাতানুকূল যন্ত্রেও। এই অবস্থায় ঠান্ডা হওয়ার জন্য খোঁজ পড়েছে ঠান্ডা শহরের। দার্জিলিং, শিমলার মতো শহরে হঠাৎই বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। এতটাই যে সাধারণ হোটেল পেতেও দিন কাবার হয়ে যাচ্ছে।
শিমলায় গত দু’দিনে আচমকাই বেড়ে গিয়েছে যানজট। হিমাচল প্রদেশ প্রশাসন বলছে, দু’দিনে শুধু শিমলায় ঢুকেছে ৩০ হাজার গাড়ি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে যানজটে ফেঁসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নাকাল হয়েছেন মানুষ। তবে এই অবস্থা আগামী কয়েক দিনেও বদলাবে না বলেই অনুমান প্রশাসনের। চলতি সপ্তাহের কয়েক দিনের ট্রেন এবং বিমানের আসন সংরক্ষণের হিসাবও অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। শিমলা পুলিশ জানিয়েছে, শিমলায় ভিড় কমার লক্ষণ তো নেই-ই উল্টে ভিড় আরও বাড়বে বুধ থেকে শুক্রবারের মধ্যে। ওই দু’দিনে শিমলাতে ঢোকা গাড়ির সংখ্যা দৈনিক চার থেকে পাঁচ হাজার করে বাড়তে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন।
ঘরের কাছে দার্জিলিঙের অবস্থাও তথৈবচ। সেখানেও বেড়ানোর ভিড় আচমকা বেড়েছে, পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এমনিতেই ভ্রমণ মরসুম চলে উত্তরবঙ্গে। কিন্তু গরম বাড়তেই আরও বেড়েছে ভিড়। হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, “গত বছর এ সময়ে সেভাবে পর্যটক আসেননি পাহাড়ে। তবে এবার রেকর্ড ভেঙেছে৷ দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ সিকিমের বিভিন্ন হোটেলে ইতিমধ্যেই ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। সমতলে গরম হলেও পাহাড়ের পরিবেশ আলাদা। এটা পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত থাকবে।