চুলের বৃদ্ধিতে কাজে আসে নারকেলের দুধ
ডাবের জল খেলে কোনও রোগবালাই আপনার শরীরকে ছুঁতে পারবে না। আর যদি নিয়মিত ডাবের জল দিয়ে রূপচর্চা সারেন, ত্বকের জেল্লা ফেটে পড়বে। পক্সের দাগ দূর করতে অনেকেই ডাবের জল গায়ে মাখেন।ডাবের শাঁসকে পেস্ট করলেই মালাইয়ের মতো তৈরি হয়ে যায়। আবার নারকেলের নির্যাস পেস্ট করে দুধও বানানো যায়। এই উপাদান ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
নারকেলের দুধে উচ্চ পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এছাড়াও এটি ভিটামিন সি, বি ও ই-তে পরিপূর্ণ। কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়ামের মতো মিনারেল পাওয়া যায় এই দুধে। তাই এটি চুল ও ত্বকের সমস্যা সহজেই দূর করে।নারকেলের দুধে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এটি ত্বককে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায় এবং প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। নারকেলের দুধ নিয়ে মুখে ভাল করে মেখে নিন। তারপর ভিজে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
নারকেলের দুধ মধু, আমন্ডের পেস্ট ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক বলিরেখা, ব্রণ, দাগছোপ দূর করে দেয়। নারকেলের দুধ রোদে পোড়া দাগ থেকেও মুক্তি দেয়। আপনার ত্বকের যে সব অংশে রোদে পুড়ে কালো দাগ হয়ে গিয়েছে, তার উপর নারকেলের দুধ লাগান। এটি ত্বকের প্রদাহ কমাবে এবং ত্বকে শীতলতা প্রদান করবে।
ব্রণ প্রবণ ত্বকের উপরও আপনি নারকেলের দুধ লাগাতে পারেন। নারকেলের দুধে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।চুলের বৃদ্ধিতে কাজে আসে নারকেলের দুধ। শ্যাম্পু করার পর মাথায় নারকেলের দুধ মাখুন। মিনিট পাঁচেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। নারকেলের দুধে চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে এবং চুলকে নরম করে তুলবে।