পেঁপে-গাজর দিয়ে কষিয়েই রাঁধুন মাংসের ঝোল
গড়মের পারদ যে ভাবে চড়ছে এই এপ্রিলেই তা রীতিমতো ভয় ধরানো। এদিকে গরম পড়লেই শরীরে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। পেট খারাপ, পেট গরম, হজম না হওয়া এরকম সব সমস্যা লেগেই থাকে। কোন খাবার থেকে হঠাৎ করে সমস্যা হয়ে যায় তা বোঝাই যায় না। গরমে যত বেশি হালকা খাবার খাওয়া যায় ততই ভাল। তাই বলে গরমের রবিবারে তো আর চিকেনের স্ট্যু খেতে ইচ্ছে করে না। যাঁরা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, লিভারের সমস্যা রয়েছে তাঁরা অধিকাংশ দিনই চিকেন এমন হালকা পাতলা ঝোল খান। রবিবারেও গাজর, পেঁপে দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন চিকেনের ঝোল। ভয় নেই এই চিকেন কিন্তু ট্যালট্যালে হয় না কম মশলা দিয়ে কষিয়েই রান্না করে নিতে পারবেন। আর হরম ভাতের সঙ্গে খেতেও লাগবে ভাল।
মাংস ভাল করে ধুয়ে নিয়ে নুন, টকদই, গোলমরিচের গুঁড়ো আর সামান্য লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে মাখিয়ে রাখুন ১ ঘন্টা। বড় বড় করে গাজর, আলু আর পেঁপে কেটে নিন। কড়াইতে বড় দেড় চামট তেল দিয়ে প্রথমে গোটা গরম মশলা দিয়ে দিন। এবার পেঁয়াজ কুচি, ১ চামচ আদা বাটা, ১ চামচ রসুন বাটা মিশিয়ে দিন। এবার একটা টমেটো দিয়ে নেড়ে চেড়ে গাজর, আলু, পেঁপে দিয়ে কষতে দিন। সামান্য হলুদ, নুন, জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে কষতে থাকুন। সবজি সামান্য সিদ্ধ হয়ে এলে ওর মধ্যে চিকেনের টুকরো মিশিয়ে আবারও কষাতে থাকুন।
একদম লো ফ্লেমে রেখে কড়াইতে ঢাকা দিয়ে দিন। এভাবে রাখলেই চিকেন থেকে জল ছেড়ে আসবে। টক দই মেশানোতে আলাদা করে জল দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। চিকেনের তেল আর দই এর মধ্যে নিজস্ব যে জল থাকে তাতেই পুরো রান্নাটি হবে। এবার নামানোর আগে এই চিকেন কষাতে সামান্য গেলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। ঝাল থেকে চাইলে কাঁচালঙ্কা চিরে মিশিয়ে দিতে পারেন। ব্যাস, তৈরি চিকেনের হালকা-পাতলা কারি। গরম ভাতে এই চিকেনের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস দিয়ে মেখে খেলে খেতেও বেশ ভাল লাগবে।