রোজ সকালে এই ভাবে চিয়া বীজ খেলেই ফল পাবেন!
অফিস-কাছারি যেতে হলে একটু সাজগোজের প্রয়োজন হয় বটে। শাড়ি পরুন কিংবা গাউন, পেটের অতিরিক্ত চর্বি নিজের অস্তিত্ব জানান দেবেই। পেট বা কোমরের চারপাশে মেদ জমলে সত্যিই বিরক্তি লাগে। আর সবথেকে চিন্তার বিষয় হল, একবার যদি ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করে, তাহলে সহজে তা কমানো যায় না। ব্যায়াম বা ডায়েট করেন বটে, তবে ভুঁড়ি কমে না এক ইঞ্চিও।
ভুঁড়ি কমানোর জন্য নিয়ম মেনে যেমন ব্যায়াম প্রয়োজন, তেমনই ডায়েটেও নজর দেওয়া দরকার। তাই তো পুষ্টিবিদরা রোজকার ডায়েটে চিয়া বীজ রাখার পরামর্শ দেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডায়টারি ফাইবারে পরিপূর্ণ এই চিয়া বীজে। তাই এটি খেলে হজম ক্ষমতা বেড়ে যায় সহজেই। এছাড়া এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। চিয়া বীজ হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। ক্যালোরিও কম থাকে এই বীজে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি আলফা লিনোলিক অ্যাসিড, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ। আর আছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এই বীজ রোজ খেলে ওজন যেমন কমে যায়, তেমনই শরীরকে রোগমুক্ত রাখে। এক আউন্স চিয়া বীজে ৪.৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে। ডায়েটিং কালে অনেকে দুর্বল হয়ে যান। এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে চিয়া বীজ খেলে এনার্জির ঘাটতি দূর হয়।
- ব্রেকফাস্টে দুধ আর দইয়ের সঙ্গে চিয়া সিডস খাওয়া যেতে পারে।
- ওটসের সঙ্গেও খেতে পারেন এই প্রাকৃতিক উপাদান।আদা জলে চিয়া সিডস ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যেতে পারে
- তবে চিয়া সিডস খেলেই যে ওজন হুড়মুড়িয়ে কমে যাবে এমনটা কিন্তু নয়। নিয়মিত শরীরচর্চাও করতে হবে। তবেই ফল পাবেন।