মুচ-মুচে ফিশ ফ্রাই বানিয়ে জমিয়ে দিন উইকেন্ড
বিকেলের চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে ভাতের পাতের প্রথম পদ হিসেবে আসর জমিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ফ্রিশ ফ্রাই। আমাদের আশেপাশের এমন মানুষও আবার রয়েছে মাছে যাঁদের অনীহা। কিন্তু ফিশ ফ্রাই পেলে চেটেপুটে সাবড়ে দেন তাঁরাও। এখন পাড়ার মোড়ের দোকান থেকে ক্যাফে,রেস্তোরাঁ সর্বত্র ফিশ ফ্রাই পাওয়া গেলেও বিয়েবাড়ির ফিশ ফ্রাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অন্য আবেগ। কারও-কারও তো আবার বিয়েবাড়ি যাওয়ার মূল আকর্ষণই ফিশ ফ্রাই। তবে জানেন কি বিয়েবাড়ির মতো মুচ-মুচে ফিশ ফ্রাই বাড়িতেই বানানো সম্ভব। কীভাবে বানাবেন ভাবছেন তো? রইল রেসিপি।
উপকরণ: ১. ভেটকি বা বাশা মাছে ফিলে ২. ধনেপাতা বাটা ১ চামচ ৩. ১ চামচ আদা ও রসুন বাটা লঙ্কা বাটা ১-২ চামচ ৪. সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো ৫. পরিমাণমতো পাতি লেবুর রস ৬. ১ টা গোটা কাঁচা ডিম ৭. কর্নফ্লাওয়ার ২ চামচ ৮. পরিমাণমতো বিস্কুটের গুঁড়ো ৯. তেল ১০. স্বাদমতো নুন
পদ্ধতি:
বাজার থেকে আনা মাছের ফিলে গুলো ভাল করে ধুয়ে নিন। এবার তাতে পাতিলেবুর রস, নুন ও গোলমরিচের গুঁড়ো মাখিয়ে ৩০ মিনিট ম্যারিনেট করে রেখে দিন। এবার আদা-রসুন বাটা ও ধনেপাতা বাটা ভালো করে মাছের ফিলে গুলোর গায়ে মাখিয়ে নিন। অন্যদিকে একটি পাত্রে একটি ডিম ফেটিয়ে নিন। তাতে কর্নফ্লাওয়ার যোগ করুন। পুরো মিশ্রণটি ভাল করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন কর্নফ্লাওয়ার যেন ডেলা পাকিয়ে না থাকে।এবার মশলা মাখানো মাছের ফিলে গুলি ডিম ও কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণে ডোবান। এবার তুলে নিয়ে বিস্কুটেক গুঁড়োতে দিন। এই ভাবে দু’পিঠ ভালভাবে কোটিং করে নিন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করতে দিন। গরম হয়ে গেলে তাতে ফিলে গুলি দিয়ে দিন। যতক্ষণ না বাদামী হচ্ছে ভাজুন। ব্যাস তৈরি আপনার ফিশ ফ্রাই। কাসুন্দি কিংবা কেচাপের সঙ্গে গরম-গরম পরিবেশন করুন।