রান্নাঘরের এই মামুলি উপাদানেই ঝরবে মেদ
রান্নাঘরের অতিসাধারণ ঘি। মাংস কষা থেকে গাজরের হালুয়া, বিভিন্ন ধরনের খাবারে ঘি ব্যবহার করা হয়। এই উপাদানটি গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং ওজন কমাতে সহায়ক ঘি।ঘিয়ের মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, খনিজ, পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। তাছাড়া ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।আয়ুর্বেদের মতে, ঘি আমাদের বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। ঘি মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি উন্নত হয় হজম স্বাস্থ্য। ইমিউনিটি সিস্টেমকে ভাল রাখতে আপনি ঘি খেতে পারেন।
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই ডায়েট থেকে ঘি, মাখন বাদ দেন। কিন্তু ঘি খেলে আপনার ওজন বাড়বে না, বরং কমবে। তবে, ঘি খাওয়ারও নিয়ম রয়েছে। ঘি দিয়ে মাংস রেঁধে খেলে কখনওই আপনার ওজন কমবে না।আপনি যদি ডাল-ভাত কিংবা আটা, জোয়ার বা বাজরার তৈরি রুটি খান, তাহলে এতে এক চামচ ঘি মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে খাবারের স্বাদ বাড়বে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এছাড়া এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।এক গ্লাস দুধের সুঙ্গে এক চামচ ঘি, অল্প হলুদ আর গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরে শক্তি জোগান দেবে। পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে।