কাঁটালের বীজে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে
গরমে আম-জামের পাশাপাশি কাঁঠাল অন্যতম। যদিও এই ফল অনেকেরেই না-পসন্দ। কিন্তু এর বীজের পুষ্টিগুণে জানলে খাওয়ার ইচ্ছে কিন্তু বাড়তেই পারে। কাঁঠালের বীজ বাদামের সমান উপকারী। কাঁঠালের বীজে ভিটামিন বি পাওয়া যায়। কাঁঠালের বীজ ফাইবার সমৃদ্ধ যা হজম, বিপাক এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি ত্বক ও চুলকেও ভাল রাখে। কাঁঠালের বীজ আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতেও সাহায্য করে।
বাজারে এখন কাঁঠালের গন্ধে ভরপুর। তবে অনেকেই আবার এই গন্ধের জন্য ফলটিকে একেবারে পছন্দ করেন না। কাঁঠাল বীজ দিয়ে অনেক রকমারি রান্না করা যায়। এই কাঁঠাল বীজের চচ্চড়ি খেতে যেমন ভাল লাগে তেমনই এর উপকারিতাও অনেক।কাঁঠালের বীজ ২০০ গ্রাম মত নিতে হবে। আর ছোট সাইজের নোনা চিংড়ি ৪০০ গ্রাম মত নিন। মাছে নুন-হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। এবার কাঁঠালের দানা অর্ধেক করে কেটে নিতে হবে। খোসাও মনে করে ছাড়িয়ে নিতে হবে। এই রান্না হতে খুবই কম সময় লাগে।
কাঁঠালের বীজ এবার খুব ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। একটা আলু নিয়ে তরকারির মত করে কেটে নিতে হবে। সরষের তেল গরম করে জিরে, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে আলু দিয়ে ভাজতে থাকুন।এবার এর মধ্যে খোসা ছাড়িয়ে রাখা কাঁঠাল দানা মিশিয়ে ভেজে নিন। সামান্য একটু নুন ছড়িয়ে দিতে ভুলবেন না। তিন-চার মিনিট ভেজে নিয়ে একটা টমেটো গ্রেট করে মিশিয়ে নিন। হাফ চামচ হলুদ, জিরে, কাশ্মীরী লঙ্কা গুঁড়ো আর সামান্য জল দিয়ে মশলা কষিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে আবারও হাফ কাপ জল দিতে পারেন।এবার সব ভাল করে কষলে চিংড়ি দিয়ে দিন। চিংড়ি দিয়েও খুব ভাল করে আবার কষিয়ে নিতে হবে। যাতে মশলাও ভাল করে মিশিয়ে যায়। চিংড়ি কষে এলে আবারও এক কাপ জল দিয়ে স্বাদমতো নুন-চিনি আর চারটে কাঁচালঙ্কা ভেঙে দিয়ে দিন।গ্যাসের ফ্লেম কমিয়ে দিয়ে তিন মিনিট ফুটিয়ে নিন। সবশেষে উপর থেকে গরম মশলা গুঁড়ো আর ঘি ছড়িয়ে দিন। এবার গ্যাস বন্ধ করে আরও ৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। গরম ভাতে এই তরকারি খেতে খুবই ভাল লাগে।