You will be redirected to an external website

বাতাসে বসন্তের গন্ধ, পলাশের রঙে রঙিন হতে ঘুরে আসতে পারেন পুরুলিয়ার বড়ন্তি থেকে

বাতাসে-বসন্তের-গন্ধ,-পলাশের-রঙে-রঙিন-হতে-ঘুরে-আসতে-পারেন-পুরুলিয়ার-বড়ন্তি-থেকে

পলাশের রঙে রঙিন হতে চলে যান পুরুলিয়ার বড়ন্তিতে

কয়েক দিন পরেই রঙের উৎসব। দোল আসা মানেই শহুরে বাঙালির মন আর ঘরে টেকে না। এমন রঙিন সময়ে গতানুগতিকতায় ভেসে না গিয়ে, অনেকেই খানিক অন্য পরিবেশে দোল উদ্‌যাপন করতে চান। তা ছাড়া সেই সময় কয়েক দিনেরও ছুটি পাওয়া যায়। একে বসন্ত তার উপর ছুটি, সদ্ব্যবহার করতে বাঙালি বেরিয়ে পড়েন কাছেপিঠে কোথাও। আসন্ন দোলের ছুটি কাটাতেও অনেকেই তেমন পরিকল্পনা শুরু করেছেন। কিন্তু কোথায় যাবেন বুঝতে পারছে না? এত না ভেবে পলাশের রঙে রঙিন হতে চলে যান পুরুলিয়ার বড়ন্তিতে।

সাঁওতাল উপজাতীদের নিয়ে একটি ছোট্ট গ্রাম বড়ন্তি। চারদিকে পাহাড়ের হাতছানি। পায়ের তলায় লালমাটি, আর চারপাশ পলাশের রঙে মোড়া। সবুজ গাছপালা ঘেরা বড়ন্তিতে এলে মনে হয়, জীবনীশক্তিতে ভরপুর হয়ে উঠছে মন এবং শরীর। প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়া যায় সতেজ হাওয়ায়।

বড়ন্তি গ্রামের পাশেই রয়েছে বড়ন্তি হ্রদ। মুরাডি লেক নামেও পরিচিত এই হ্রদ। কারণ মুরাডি পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এই হ্রদের বাস।

গ্রাম নয়, যেন হাতে আঁকা ছবি। শাল, পিয়াল, পলাশ, আকাশমণি, মহুয়া গাছের জঙ্গলে ঘেরা লালমাটির পথ ধরে যেতে মন্দ লাগবে না। গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতেই দেখা হয়ে যাবে, সেখানকার অনাড়ম্বর জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত বড়ন্তির বাসিন্দাদের সঙ্গে। হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যাবেন বড়ন্তি নদীর ধারে। টলটলে স্বচ্ছ জলের সেই নদী এঁকেবেঁকে চলে গিয়েছে। হাতে দু’-এক দিন বেশি ছুটি থাকলে ঘুরে আসতে পারেন সাঁওতালি গ্রাম মানজুড়ি থেকে। সেই গ্রামে গিয়ে মন ভরে যেতে বাধ্য। মাটির দেওয়ালে সুন্দর আলপনার কারুকার্য। নিকোনো উঠোন। মন ভরে যাবে আপনার। এ ছাড়া সময় থাকলে বড়ন্তি থেকে গাড়ি ভাড়া ঘুরে নিতে পারেন পাঞ্চেত, মাইথন, গড় পঞ্চকোট, জয়চণ্ডী পাহাড়।

কী ভাবে যাবেন?

কলকাতা থেকে বড়ন্তির দূরন্ত ২৬৩ কিলোমিটার। হাওড়া, শিয়ালদহ কিংবা কলকাতা স্টেশন থেকে যে কোনও ট্রেনে আসানসোল। সেখান থেকে আদ্রা লাইনে তিনটি স্টেশন পরেই মুরাডি। স্টেশনে নেমে গাড়ি কিংবা রিকশায় চেপে ছয় কিলোমিটার দূরে বড়ন্তি পৌঁছনো যায়।

কোথায় থাকবেন?

বেশ কয়েকটি রিসর্ট রয়েছে বড়ন্তিতে। সেগুলিতেই চাইলে থাকতে পারেন। তবে দোলের সময়ে ভিড় থাকে সর্বত্রই। তাই আগে থেকে বুকিং করা থাকলে ঝামেলা কম হবে।

AUTHOR :RIMA

পুজো-না-পেটপুজো:-বাড়ির-সকলকে-নতুন-কিছু-খাওয়াতে-চান?-বানাতে-পারেন-পাঁঠার-মাংসের-আখনি-পোলাও Read Previous

পুজো না পেটপুজো: বাড়ির স...

Skin-care-tips:-গরমেও-ত্বকের-শুষ্কতা-যাচ্ছে-না?-মুশকিল-আসান-করতে-পারে-‘ইউজ়ু’ Read Next

Skin care tips: গরমেও ত্বকের শুষ্...