গরমে স্বস্তি পেতে ছাতুর শরবতে চুমুক দেন
গরম বাড়তে চলেছে। এই সময় গলা ভেজাতে অনেকেই রাস্তায় ছাতুর শরবত পান করেন। উত্তরপ্রদেশ আর বিহারে এই খাবারের রমরমা বেশি। বাংলাতেও এই খাবারের চাহিদা রয়েছে। যদিও শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার ক্ষেত্রে এই ছাতুর শরবত দারুণ উপকারী। যদিও শরীরকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে এই দেশীর জলখাবারের তুলনা হয় না। ছাতুর মধ্যে সোডিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো পুষ্টি রয়েছে। হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে ছাতু।
যাঁরা ওজন কমাতে চান কিন্তু ডায়েট চার্ট মেনে খাবার খাওয়ার সময় নেই, তাঁরা ছাতুর সাহায্য নিতে পারেন। হাতে জলখাবার খাওয়ার সময় না থাকলে এক গ্লাস ছাতুর শরবত খেয়ে বেরিয়ে যেতে পারেন। তাছাড়া খালি পেটে এক গ্লাস ছাতুর শরবত পান করলে সারাটা দিন আপনি ফুরফুরে থাকতে পারেন। এটি আপনার মধ্যে শক্তির জোগান দেয় যার ফলে সারাদিনের কাজকর্মেও আপনি এনার্জি পাবেন।
ছাতুর শরবত তৈরি করুন এভাবে-
এক গ্লাস জলে ২ চামচ ছাতু, ১ চামচ চিনি, ১/২ চামচ লেবুর রস, এক চিমটে নুন, এক চিমটে বিটনুন, ১/২ চামচ পেঁয়াজ কুচি, ১/২ চামচ কাঁচা লঙ্কা কুচি, ১/২ চামচ ধনে পাতা মিশিয়ে নিন। ভাল করে উপকরণগুলো মিশিয়ে নিন পান করুন ছাতুর শরবত।
ছাতুর শরবত যে স্বাস্থ্যকর সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে শরবত ছাড়াও আরও এক উপায়ে আপনি ছাতু খেতে পারেন। তা হল ছাতুর চিলা। উত্তর ভারতের একটি জনপ্রিয় পদ এই চিলা। ছাতু দিয়ে আপনিও বানিয়ে নিতে পারেন এটি। সকালের জলখাবারের জন্য সেরা এই ছাতুর চিলা।
ছাতুর ছিলা তৈরি করুন এভাবে-
চার চামচ ছাতু নিন। এতে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচিয়ে নিন। অর্ধেক টমেটো কুচিয়ে নিন। এবার ছাতু, পেঁয়াজ ও টমেটো সঙ্গে নুন, গোলমরিচের গুঁড়ো ও লঙ্কা কুচি মিশিয়ে নিন। এতে সামান্য জল ও তেল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। খুব ঘন বা খুব পাতলা পেস্ট বানাবেন। এবার তাওয়াতে এক চিমটে তেল দিয়ে ভেজে নিন ছাতুর ছিলা।