ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে বেশ ভোগায় গাউটের ব্যথা
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে বেশ ভোগায় গাউটের ব্যথা। বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড গিয়ে জমা হয় গাঁটে। তখনই শুরু হয় ব্যথা-যন্ত্রণা। পায়ের বুড়ো আঙুলে ব্যথা, গোড়ালি ফুলে ঢোল হয়ে থাকে। পায়ের পাতা মাটিতে ফেলা যায় না। এছাড়া হাঁটুর ব্যথা লেগেই থাকে। এসব ব্যথা-যন্ত্রণা বাগে আনতে গেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে হবে। আর সেটা সম্ভব ওষুধ ও খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে।
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে সবার আগে ডায়েট থেকে বাদ যায় মদ আর মাটন। যদিও রেড মিট, অ্যালকোহল রোজের খাদ্য নয়। দৈনন্দিন ডায়েট থেকে ডাল, টমেটো, ঢ্যাঁড়শের মতো খাবারকে বাদ দিতে হয়।
প্রোটিন থেকে যে পিউরিন মেলে, সেটা ভেঙে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। সুতরাং, ইউরিক অ্যাসিডের বাড়বাড়ন্তকে বশ করতে হলে ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে। আর ডাল হল উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের ভাণ্ডার। কিন্তু আপনি প্রতিদিন ৫০ গ্রামের বেশি ডাল খান না, যার জেরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তবে, সাবধানতা অবলম্বন করাতে কোনও ভুল নেই। যদি ইউরিক অ্যাসিড ও গাউটের ব্যথা বেশি ভোগায়, এই ৩ ডাল খাওয়া কমিয়ে দিন।
মুসুর ডাল: ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে মুসুর ডাল খাওয়া কমিয়ে দেওয়াই ভাল। অন্যান্য ডালের তুলনায় মুসুর ডালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা এবং গাউটের ব্যথা বাড়াতে পারে।
ছোলার ডাল: ছোলার ডালে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। গাউটের ব্যথায় কষ্ট পেলে ছোলার ডাল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। নিয়মিত এই ডাল খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে পারে।
বিউলির ডাল: সপ্তাহে একদিন বিউলির ডাল রান্না খান? ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে মাসে দু’বার বিউলির ডাল খান। এই ডালের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে পিউরিন রয়েছে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।