সুস্থ থাকতে হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে
সুস্থ থাকতে হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলা খুবই জরুরি। ওজন বাড়লে শুধু যে দেখতে খারাপ লাগে তা নয় শরীরে জাঁকিয়ে বসে একাধিক শাররিক সমস্যাও। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা এসে যায়। আর তাই সুস্থ থাকতে হলে ওজন কমাতেই হবে। আজকাল অনেকেই হরমোনের অসামঞ্জস্যতায় ভুগছেন। এর থেকেও মুক্তি পাবার একমাত্র উপায় হল ডায়েট। সামনেই পুজো। পুজোর আগে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে সকলেই সুন্দর হতে চান। তাই এই ডায়েট মেনে চলুন আজ থেকেই।
দিনের শুরু হোক একগ্লাস গরম জলে। এরপর জিরে-জোয়ান একসঙ্গে ফুটিয়ে সেই জল খান। এর ঠিক ১৫ মিনিট পর চিয়া সিড লেবু দিয়ে খান একগ্লাস। এছাড়াও মেথি ভেজানো জল পরদিন সকালে ছেঁকে খেতে পারেন। এরপর ভেজানো আমন্ড, ওয়ালনাট খান। নইলে একটা ছোট কলা আর এক মুঠো মুড়ি খেতে পারেন।
ব্রেকফাস্টে এক একদিন এক একরকম খাবার খান। মসালা ওটস খেতে পারেন। যদি স্যান্ডউইচ খান তাহলে সঙ্গে পেঁপে, একবাটি শসা অবশ্যই রাখবেন। অথবা ধোকলা, দুটো ইডলি, পোহা এসব খেতে পারেন। এছাড়াও মাল্টিগ্রেন ধোসা বানিয়ে খেতে পারেন। সঙ্গে বাদামের চাটনি। ব্রেকফাস্টে একটা করে ডিম রোজ খান। ফলের মধ্যে তরমুজ, আনারস, কালো আঙির, পাকা পেঁপে রোজ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
দুপুরে ২ টো মাল্টিগ্রেন আটার রুটি, ভেজ, ডাল, স্যালাড খান। অথবা একটা স্টাফড পরোটা আর একবাটি দই খান। ব্রাউন রাইস, মিক্সড ডাল, ভেজ রায়তা। বেসন চিল্লা, ছানা একবাটি। পালক পনির, ভাত, স্যালাড। সন্ধ্যায় গ্রিন টি, শুকনো মুড়ি, ড্রাই ফ্রুটস, খেজুর, মাখানা. ঘি রুটি খেতে পারেন।
ডিনারে ৮ টার মধ্যে খান। ভেজ পোলাও, পনির টিক্কা, ডাল-ভাত, দুটে রুটি, স্যুপ, সঁতে সবজি এসব খান ডিনারে। নইলে চিকেন স্যুপ একবাটি বা সবজি দিয়ে চিকেন স্ট্যু বানিয়ে খেতে পারেন।