নতুন বছরে অন্তত শীতটা জাঁকিয়ে পড়বে
নতুন বছরে অন্তত শীতটা জাঁকিয়ে পড়বে। কিন্তু বছরের দ্বিতীয় দিনেই সান্ত্বনার শীত। আজ মহানগরের তাপমাত্রা ১৫.৫ ডিগ্রি হলেও, এই সুখ বেশি দিন নেই। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ফের তাপমাত্রা বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ১৭ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছবে কলকাতার তাপমাত্রা। ৪-৬ জানুয়ারি পশ্চিমাঞ্চলে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যদিও ২৫ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে। কিন্তু জানুয়ারিতে শীত উধাও উদ্বেগের বিষয় হলেও, এই ঘন ঘন আবহাওয়া পরিবর্তন বাঙালির ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি ডেকে আনে।
আবার সন্ধের পর থেকে গায়ে শাল চাপাতে হচ্ছে। এই ঠান্ডা-গরম আবহাওয়াই জ্বর-সর্দির সমস্যা বাড়ায়। প্যারাসিটামল খেলে জ্বর কমানো গেলেও খুকখুক কাশি বেশি ভোগায়। কাশির সমস্যা চট করে পিছু ছাড়তে চায় না। কারও কাশির সঙ্গে কফ বেরোতে থাকে। আবার কারও শুকনো কাশি হয়। যেহেতু হাওয়া দফতর তাপমাত্রা ওঠানামার পূর্বাভাস দিয়ে দিয়েছে, তাই আপনাকেও কাশি প্রতিরোধের উপায় তৈরি রাখতে হবে।
আদা: ঘরোয়া উপায়ে নিজেকে সুস্থ রাখতে রোজ এক টুকরো করে কাঁচা আদা খান। কাশিতে ভুগলে আপনি গরম গরম আদা চায়ে চুমুক দিতে পারেন। গলায় আটকে থাকা সর্দিও এতে বেরিয়ে আসবে। এছাড়া আদা খেলে গ্যাস-অম্বল, ফোলাভাবের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।
হলুদ: বছরের পর বছর ধরে কাশির চিকিৎসায় হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদের মধ্যে কারকিউমিন যৌগ রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। কাঁচা হলুদের সঙ্গে গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে সবচেয়ে ভাল ফল পাবেন। এছাড়া আপনি গরম দুধে হলুদ গুঁড়ো, গোলমরিচের গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে জ্বর-সর্দি ও কাশি সব কিছুর হাত থেকেই মুক্তি পাবেন।