রেস্তরাঁ থেকে না কিনে বাড়িতেই বানাবেন দুধ শুক্তো
লেবু-লংকার সঙ্গে র্যাডিক্যাল বাঙালির পাতে প্রথম থেকেই স্বমহিমায় উপস্থিত রয়েছে শুক্তো। মঙ্গলকাব্য এবং বৈষ্ণবসাহিত্যে এই রান্নাটির উল্লেখ থাকলেও তখন কিন্তু শুক্তো বলতে শুধুমাত্র তিতোকেই বোঝানো হত। এই সাতরকম সব্জির তিক্ত ব্যাঞ্জন তখন ছিল না। তখন শুক্তো রান্না করা হত- বেগুন, কুমড়ো, কাঁচকলা, মোচা আর গুঁড়ো বা বাটা মশলা দিয়ে। নিরামিশ রান্নাতেও বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। বাঙালি শাস্ত্র মানে না। আর তাই শুধু না মেনেই ক্ষান্ত নয়, নিজের মতো করে শাস্ত্র, আচার এবং ধর্মকে বদলে নিতে পারে। বাঙালির জীবন যেরকম বিচিত্র তেমনই কিন্তু মৌলিকত্ব রয়েছে রান্নায়। বাঙালি হেঁশেলে আজ যে আলু, টমেটো এবং কাঁচালঙ্কার এত কদর তা কিন্তু পর্তুগীজদের দান। যতই ডায়াবিটিসের চোখরাঙানি থাক না কেন, বাঙালির সব রান্নাতেই মধ্যমণি হয়ে বসে থাকেন আলু। এছাড়াও পার্শ্বচরিত্র হিসেবে লাই, কুমড়ো, পটল, ঝিঙে, উচ্ছে, কাঁচকলা এরা তো আছেই। বাঙালির মুখরক্ষা করে যে পদ তাকে আমরা নিজের মতো করে যত্নে সাজিয়ে নেব না? তাই আজ রইল বাঙালির প্রিয় শুক্তোর এই পুরনো রেসিপি দুধ শুক্তো।
উপকরণ
সজনে ডাঁটা: ৩টি
আলু: ১টি
উচ্ছে বা করলা: ১টি
পটল: ১টি
বেগুন: ১টি
কাঁচকলা: ১টি
রাঙা আলু: ১টি
তেল: ২ টেবিল চামচ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
চিনি: স্বাদ অনুযায়ী
পাঁচফোড়ন: ১ চা চামচ
দুধ: ২০০ মিলিলিটার
প্রণালী:
১) কড়াইয়ে তেল ঢেলে প্রতিটি সব্জি আলাদা আলাদা করে ভেজে নিন। তবে ভাজা যেন কড়া না হয়ে যায়।
২) পাঁচফোড়ন গুঁড়ো করে নিন। এর পর কড়াইয়ে তেল নিয়ে তাতে পাঁচফোড়ন গুঁড়ো মিশিয়ে নাড়তে থাকুন।
৩) গরম তেলে পরিমাণ মতো নুন এবং চিনি দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিয়ে একে একে ভাজা সব্জিগুলি দিয়ে দিন।
৪) একটু নাড়াচাড়া করে অল্প জল দিয়ে দিন। আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন কড়াই।
৫) সব্জি সেদ্ধ হয়ে এলে এর মধ্যে দুধ ঢেলে দিন।
৬) দুধ দেওয়ার পর ভাল করে ফুটতে দিন। ফুটে উঠলে পরিমাণ মতো চিনি এবং রাঁধুনি গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।
৭) ঝোল একটু ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন দুধ শুক্তো।