গন্ধরাজ লেবুর সঙ্গে কচি পাঁঠার ঝোল
বাঙালিদের যে কোনও অনুষ্ঠান মানেই পাতে পড়বে পাঁঠার মাংস। আর সামান্য উপকরণেই কী ভাবে বাজিমাৎ করবেন আজকে রইল সেই উপায়। কচি পাঁঠার ঝোল আর ভাত! বাঙালির রসনাতৃপ্তির একেবারে শেষ কথা। স্বাস্থ্যের কারণে এখন অনেকেই রেড মিট এড়িয়ে চললেও পাঁঠার মাংসের জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি।
এখন অবশ্য সুগার বা কোলেস্টেরলের যুগে কেউ পছন্দ করেন পাঁঠার মাংস, কেউ আবার স্বাস্থ্য সচেতন, মুরগির লাল ঝোল দিয়েই লোভ সংবরণ করেন। তবে যে যতই বলুক পাঁঠার মাংস পাতে পড়লে বাঙালি না করতে পারে না। আজ এই ছুটির দিনে রইল সেই রেসিপি...
কী কী লাগবে
- কচি পাঁঠা: ৭৫০ গ্রাম
- আলু: ৩টে মাঝারি (অর্ধেক করে কাটা)
- পেঁয়াজ: কুঁচনো ১টা বড়
- টমেটো: ২টো মাঝারি মাপের কুঁচনো
- রসুন বাটা: ৫ কোয়া
- আদা বাটা: ২ ইঞ্চি স্টিক
- টকদই: ২ টেবল চামচ
- ছোট এলাচ: ৪টে
- দারচিনি: ১টা বড় স্টিক
- লবঙ্গ: ৩-৪টে
- তেজপাতা: ২টো বড়
- হলুদ গুঁড়ো: দেড় চা চামচ
- লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
- ধনে গুঁড়ো: ২ চা চামচ
- জিরে গুঁড়ো: দেড় চা চামচ
- গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
- ঘি: ১ টেবল চামচ
- তেল: পরিমাণ মতো
- নুন: স্বাদ মতো
- পদ্ধতি
- মাংসের মধ্যে দই, নুন, আর্ধেক আদা-রসুন বাটা, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন।
কড়াইতে তেল গরম করে ছোট এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। সুন্দর গন্ধ বেরোলে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। পেঁয়াজ লাল হয়ে গেলে এ বার আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণটি সোনালি হয়ে আসছে ততক্ষণ নাড়তে থাকুন লো ফেমে।
এর পর টমেটো কুঁচি দিয়ে দিন। টমেটো যখন নরম হয়ে গলে যাবে তখন মাংস ও আলু দিন। ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না মাংসের রং বদলাচ্ছে ও জল ছাড়তে শুরু করছে। ততক্ষণ ভালো করে কষাতে থাকুন।
মাংস জল ছাড়তে শুরু করলে সবশুদ্ধ নিয়ে প্রেশার কুকারে দিয়ে দিন। কতটা ঝোল প্রয়োজন সেই বুঝে জল দেবেন। প্রেশার কুকারের ঢাকনাটি চাপা দিয়ে ১২-১৫টা হুইসল পর্যন্ত সিদ্ধ করুন। প্রেশার কুকারের স্টিম বের করে দিয়ে ঢাকনাটা খুলুন। এর পর ৭-১০ মিনিট আভেন একদম সিমে রেখে দিন। কতটা ঝোল চান সেই অনুযায়ী ঠিক করে নিন আঁচে কতক্ষণ রাখবেন। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে ঘি ও গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। খাওয়ার আগে ঢাকনা খুলবেন।