এবার বাড়িতেই বানান খাজা থেকে ক্ষীর
বাঙালি মাত্রই ভোজনরসিক। খাবারের জন্য শুধু একটা উপলক্ষ চাই মাত্র। তাহলেই হেঁশেলে শুরু হয়ে যাবে তোড়জোড়। আর আজ যখন রথযাত্রা। তখন উপলক্ষ তো দোরগোড়া। এমন দিনে পুরীর বিখ্যাত খাজা পাতে থাকা মাস্ট। সেই সঙ্গে মালপোয়া বা ক্ষীর মাখনি হলে তো জমে যায়। তবে দোকান থেকে কিনে নয়। খাজা বা মালপোয়া বানিয়ে ফেলুন বাড়িতেই।
খাজা উপকরণ
৪ কাপ ময়দা
- ২ চামচ ঘি
- ২ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো
- ২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
- ১ চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো
- রান্নার তেল
- ঠান্ডা জল
সিরাপের জন্য
- ২ কাপ চিনি
- ১ কাপ জল
পদ্ধতি
খাজা তৈরির জন্য প্রথমে ময়দার সঙ্গে ঘি ও জল মিশিয়ে ভাল করে মাখুন। মাখা হয়ে গেলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মিশ্রণটি রেখে দিন। এরপর সেটিলে লেচি বানান। সেগুলি কেটে রুটির মতো বেলে নিন। এরপর প্রতিটি রুটিকে একটিকে আর একটির উপর বসান। চাইলে দুটি রুচির মধ্যে ঘিয়ের প্রলেপ দিতে পারেন। রুটিগুলি জোড়া হয়ে গেলে সেটিকে আবার লেচি তৈরি করুন। এরপর সেটি সমান টুকরো করে কেটে নিন। এরপর সেগুলি তেলে দিয়ে বেশি আঁচে ভাজুন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সেগুলি লালচে হয়, ভাজতে থাকুন।
এর মধ্যে ওই ২ কাপ চিনি ও ১ কাপ জল একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন। এটিই চিনির সিরাপ। খাজা ভাজা হয়ে গেলে এই সিরাপের মধ্যে দিয়ে দিন। এবার এটি ছান্ডা করুন। ঠান্ডা হলে চিনির সিরাপ থেকে তুলে পরিবেশন করুন পুরীর খাজা।
মালপোয়া উপকরণ
২০০ গ্রাম ময়দা
- ১ চা চামচ মৌরি
- ১ চা চামচ এলাচ
- ১ কাপ ঘি (এক্ষেত্রে তেলও ব্যবহার করতে পারেন)
- ২৫০ মিলিলিটার জল
- ১০০ গ্রাম সুজি
- ১/২ চামচ বেকিং পাউডার
- ৫০০ মিলি দুধ
- ২৫০ গ্রাম চিনি
পদ্ধতি
এক্ষেত্রেও আপনাকে আগে চিনির সিরাপ তৈরি করতে হবে। তারপর ময়দা, সুজি, বেকিং পাউডার, এলাচ ও দুধ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি একেবারে কঠিন হবে না বা একেবারে তরলও হবে না। অনেকটা ক্রিমের মতো হবে মিশ্রণটি। এরপর কড়াইয়ে ঘি বা তেল গরম করুন। গরম হয়ে গেলে অল্প অল্প করে মিশ্রণটি ছাড়তে থাকুন। লালচে করে ভেজে তুলে নিন। ঠান্ডা হলে এগুলি চিনির সিরাপে ভিজিয়ে রাখুন। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে তুলে নিয়ে পরিবেশন করুন।