পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার রাখতেই হবে ডায়েটে
বর্ষায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এই সময় সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। যেহেতু এসময় ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বেশি থাকে, তাই ব্রণর সমস্যাও দেখা দেয়।ব্রণ সমস্যা শুধু যে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গেই দেখা দেয়, তা নয়। অনেকের ক্ষেত্রে ঋতু পরিবর্তন হলেও ব্রণর সমস্যা পিছু ছাড়ে না। দেহে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হলে এমনটা হয়।এমন বেশ কিছু পুষ্টি রয়েছে, যার অভাবে মুখে ব্রণ হতে পারে। অনেক সময় পিসিওডি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও ব্রণর পিছনে দায়ী থাকে। তবে, ব্রণ এড়াতে গেলে ডায়েটে এই ৫ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার রাখতেই হবে।
স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য জিঙ্ক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি পুষ্টি ব্রণর প্রদাহ, লালচে ভাব, ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে আপনি কুমড়োর দানা, কাবুলি ছোলা, বাদাম, ডাল, গোটা শস্য ও দুগ্ধজাত পণ্য খেতে পারেন।ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমিয়ে ত্বকের সমস্যাকে দূরে রাখে। পাশাপাশি অতিরিক্ত পরিমাণে সিবাম উৎপাদনকেও নিয়ন্ত্রণ করে, এতে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা ও ব্রণ সহজেই এড়ানো যায়। সামুদ্রিক মাছ, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড ও আখরোটের মধ্যে আপনি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পেয়ে যাবেন।
ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ভিটামিন কোলাজেন উৎপন্ন করে, দাগছোপ দূর করে এবং ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। শাকসবজি, লেবু জাতীয় ফল, বেরির মধ্যে আপনি ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেয়ে যাবেন।প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। একইভাবে, ভাল ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন করতে সাহায্য করে প্রোবায়োটিক। দই, কিমচির মতো ফার্মেন্টেড খাবারে প্রোবায়োটিক থাকে। এগুলো খেলে ব্রণর সমস্যা এড়াতে পারবেন।