স্বপরিবার মেঘালয়ের এই স্থানগুলি ঘোরার প্ল্যান করুন
রিম ঝিম বৃষ্টি শুরু হতে থাকলেই চারদিক সবুজে সবুজ হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে প্রায় গোটা ভারতবর্ষের অবস্থাই এক। চারদিকে যেন চির যৌবন। কিন্তু তাও শহরের বদলে গ্রাম কিংবা পাহাড়ি এলাকার বৃষ্টি অনেক বেশি আকর্ষণীয়। আর এই বৃষ্টিতে মেঘালয় যেন এক স্বর্গীয় উদ্যান।
এই দেশে মেঘেরা যেন রাস্তা দিয়ে হেঁটে বেড়ায়। মেঘ বালিকারা খিলখিলিয়ে ছুটে চলে যায় মাঠ-ঘাট দিয়ে। মেঘের ভেলায় চড়ে সবাই ভেসে বেড়ায় বাতাসে। আর সেদেশের জল এতই স্বচ্ছ যে জলের নীচে যে প্রাণীগুলি সংসার পেতে বসে আছে তাদের রোজনামচা দেখা যায় খালি চোখে।
উমিয়াম হ্রদ
উমিয়াম হ্রদের আরেক নাম বরাপানি হ্রদ। এটি মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এক জলাশয়। ১৯৬০-র দশকে উমিয়াম নদীতে বাঁধ দিয়ে এই হ্রদের সৃষ্টি হয়। মেঘালয়ের এই উলিয়াম হ্রদ এক অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। পর্যটকরা কায়াকিং, বাটার সাইক্লিং, স্কুটিং, নৌকা চালানো ইত্যাদির জন্য এখানে ভিড় করেন। এই হ্রদের চারধারও পাহাড় দিয়ে ঘেরা। বর্ষাকালে এই হ্রদের সৌন্দর্য হয়ে ওঠে নৈস্বর্গিক।
কিলাং রক
রাজধানী শিলং মেঘালয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থল হলেও এই রাজ্যে কিন্তু অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। পূর্ব ভারতের স্কটল্যান্ড শিলং-এর এলিফ্যান্ট ফলস্, শিলং পিক, লেডি হায়দারি পার্ক, ডন বস্কো মিউজিয়াম দেখা হয়ে গেলে রাজ্যের অন্যান্য স্থানগুলি দেখে নিন। শিলং থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কিলাং রক। লাল পাথরের এই শিলাটি যেন এক বিশালাকার দৈত্য।মেঘালয়ের পশ্চিম খাসি পাহাড়ে অবস্থিত কিলাং রক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ মিটার উপরে অবস্থিত।
চেরাপুঞ্জি
চেরাপুঞ্জি নামটা শুনলেই মনে হয় বুঝি বৃষ্টি পড়ছে। বিশ্বের দ্বিতীয় সিক্ত স্থান এটি। বছরের প্রায় সারাটা সময় ধরেই এখানে বৃষ্টি হয়। ফলে সারাবছরই এখানে সবুজে সবুজ। সারা বছরই তো এখান বৃষ্টি হয়। তাহলে বর্ষায় স্পেশাল কী আছে? মনে প্রশ্নটা আসতেই পারে। তবে এই প্রশ্নের সঠিক কোনও উত্তর নেই। নিজের চোখে না দেখলে বুঝতে পারবেন না। এই অভিজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাঁদের অন্তত একবার বর্ষাকালে চেরাপুঞ্জি যাওয়া উচিত।