মাছের মাথা দিয়ে পুঁই চচ্চড়ি আর গরম ভাত
পুজোর ভোগ থেকে শুরু করে যে কোনও নিমন্ত্রণ বাড়ির দুপুরের আহার এগুলি ছাড়া অসম্পূর্ণ। ভিনদেশি খাবার যতই মন জয় করুক না কেন, এই দুই পদকে এড়িয়ে যাওয়া বাঙালির পক্ষে বেশ কঠিন। গরম ভাতে মাছের মাথা, পুঁই শাক, কুমড়ো, বেগুন, আলু দিয়ে বানানো এই চচ্চড়ির স্বাদ যেন আলাদাই। এমনকী বিদেশ-বিভুঁই এর পুজোতেও আয়োজন করা হয় এই ছ্যাঁচড়ার। এখনও বিয়েবাড়িতে যতই ফ্রায়েডরাইস, চিলি চিকেন হোক না কেন দুপুরে ভাত, ডাল, মাছের ঝোলের সঙ্গে এই ছ্যাঁচড়া থাকবেই। এমনকী কথা প্রসঙ্গেও ব্যবহার করা হয় এই চচ্চড়ি, ছ্যাঁচড়া এই শব্দগুলি।
দশমীর পর তো বাড়িতে বিজয়ার আড্ডা বসবেই। আর এমন সব দিনে খাঁটি বাঙালি খাবার ছাড়া কিছুই যেন মুখে রোচে না। আর তাই ভাত, ডাল, ঝুরঝুরে আলু ভাজা, মাছের কালিয়া, কোফতার সঙ্গে পাতে পড়ুক এই ছ্যাঁচড়াও। এইরকম তরকারি বানালে সব রকম সবজি খাওয়া হয়ে যায় আবার একসঙ্গে অনেকটা ভাতও খাওয়া হয়ে যায়। সারাবছর বাজারে পুঁই শাকের চাহিদাও থাকে বেশ। চিংড়ি দিয়ে হোক বা মাছের মাথা, পুঁই শাকের চচ্চড়ি খেতে লাগে অসাধারণ। মাছের মাথা দিয়ে এমন একটি রান্না যেটা খুব সহজেই বাড়িতে তৈরি করা যায়। আর ছুটির দিনে দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে পেলে আর দেখে কে….
পুঁই শাক, মাছের মাথা সেটা রুই কাতলা বা কাতলা আপনার পছন্দমতো, কুমড়ো, আলু, পেঁয়াজ, আদা রসুন বাটা, শুকনো লঙ্কা, পাঁচ ফোঁড়ন, তেজপাতা, গোটা জিরে, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, পরিমাণ মত নুন ও তেল।
সবার আগে শাক- আলু, কুমড়ো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর আলু ও কুমড়ো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। কেটে নিন পুঁই শাকও। সব সবজি ও শাক ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার কড়াইতে গোটা জিরে, এলাচ, লবঙ্গ আর দারুচিনি নেড়ে গুড়িয়ে নিয়ে বানাতে হবে ভাজা মশলা। মাছের মাথা উল্টেপাল্টে ভেজে নিতে হবে। ওই তেলেই তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা আর পাঁচ ফোড়ন দিয়ে আলু আর কুমড়ো দিয়ে দিন। এর পর সব মশলা দিয়ে দিন। এর পর দিন মাছের মাথা। ভালো করে নেড়ে-চেড়ে হালকা আঁচে রান্না করলেই তৈরী হয়ে যাবে মাছের মাথা দিয়ে পুঁই শাক চচ্চড়ি। গরম ভাতের সঙ্গে জমবে দারুণ।