গরমে সাবুদানাতেই ঝরবে ওজন যদি রোজ খান এইভাবে
সাধারণত সাবুর খিচুড়ি, দুধ-কলা দিয়ে মেখে খাওয়ারই রেওয়াজ রয়েছে। এছাড়াও সদ্য যাঁরা মা হয়েছেন তাঁদের স্তন্য দুগ্ধের উৎপাদন বাড়াতেও সাবুদানা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। উপবাসের সঙ্গে সাবুদানার একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শুধু উপোস করলেই নয়, এমনিও রোজ খেতে পারেন সাবু। এতে ওজন কমবে আর শরীরও থাকবে সুস্থ। পাম গাছের গোড়ার যে অংশ খাওয়া যায় সেখান থেকেই তৈরি হয় সাবুদানা। সাবুদানার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কার্বস থাকে। থাকে ক্যালোরিও। তবে এই কার্বস হল কমপ্লেক্স কার্ব, যার মধ্যে থাকে গ্লুকোজ মলিকিউলস এবং এর থেকে শরীরও অনেক এনার্জি পায়। সাবুদানার মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন খুব বেশি থাকে না। তবে ওজন কমানোর জন্য একেবারে অল্প করে খেলেই হবে। এতে খেতেও ভাল লাগবে আর শরীরও ঠিক থাকবে। ১০০ গ্রাম সাবুদানায় থাকে ৩৩২ ক্যালোরি, ১ গ্রাম প্রোটিন, ১ গ্রাম ফ্যাট, ৮৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১ গ্রাম ফাইবার। এছাড়াও সাবুদানার মধ্যে থাকে জিংকও।
শরীরে রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায় সাবুদানা। এই গরমে রোজ রান্না করে খাবার খেতে ইচ্ছে করে না। আর তাই এমন সব দিনে বানিয়ে নিতে পারেন সাবুর এই সব রেসিপি। গরমের দিনে খুব ভাল হল সাবুদানার ফ্রুট স্যালাড। সাবুদানা শুকনো কড়াইতে আগে নেড়ে নিন। এতে অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা থাকে না। ৫০ গ্রাম ছোট দানার সাবু নিন এবার তা নেড়ে নিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। লো ফ্যাট মিল্কের মধ্যে জাফরান দিয়ে গরম করতে বসান। এবার এর মধ্যে পেস্তা, কাজু, আমন্ড কুচি মিশিয়ে দিন। এবার এর মধ্যে এলাচের গুঁড়ো মেশান। দুধ ফুটলে সাবুদানা মিশিয়ে ঘন করে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে আপেল, কলা, খেজুর, আমসত্ত্ব, বেদানা, আঙুরের টুকরো মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
সাবুদানা শুকনো তাওয়াতে নেড়ে নিয়ে ১/ ৪ কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। খুব বেশি ভিজবে না। এবার ওর সঙ্গে গোটা জিরে, গোলমরিচের গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, বাদাম কুচি , ছোট একটা সিদ্ধ আলু গ্রেট করে দিন। স্বাদমতো নুন আর পাতিলেবুর রস দিন। চাইলে আদা বাটা দিতে পারেন। লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো চাইলে দিতে পারেন। ছোট ছোট লেচি তৈরি করে নিন। এবার একটা প্লাস্টিক শিটে তেল বুলিয়ে এবার এর মধ্যে হাত দিয়ে চেপে চেপে তা বেলে নিতে হবে। তাওয়াতে সেঁকে নিলেই তৈরি পরোটা।