নববর্ষের ভোজের মেনুতে থাকুক চিংড়ির জলবড়া
ভাবছেন তো রোজের খাবারের বাইরে নতুন কি পদ করা যায়, যা খাঁটি বাঙালিও হবে? বানিয়ে ফেলুন চিংড়ির জলবড়া। রইল রেসিপি। বাংলাদেশের বরিশালের একটি বিখ্যাত রান্না চিংড়ির জল বড়া বা ঝোল বড়া। গরমে ছোট চিংড়ি মাছ দিয়েই হালকা রান্নার মধ্যে একটু স্বাদ বদল করতে এই পদের জুড়ি নেই। ছোট চিংড়ি মাছ কিন্তু এই সময়েও খুব সহজেই পাওয়া যায়। তাকেই একটু অন্যরকম ভাবে রান্না করে তৈরি হয় এই পদটি। আসুন দেখে নেওয়া যাক, চিংড়ির জল বড়া বানাতে কি কি উপকরণ প্রয়োজন।
উপকরণ:
ছোট চাবড়া চিংড়ি মাছ -৫০০ গ্রাম
পেঁয়াজ ঘষে নেওয়া – ১ টা বড়
আদা বাটা- ১.৫ বা ২ টেবিল চামচ
রসুন বাটা- ২ চা চামচ
টক দই-২ টেবিল চামচ
গুঁড়ো দুধ – ২ টেবিল চামচ
নারকেলের দুধ – আনুমানিক ২ কাপ বা একটু বেশি
গোটা গরম মশলা
গরম মশলা গুঁড়ো- ২-৩ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো- ২চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো-স্বাদ অনুযায়ী
কাঁচা লঙ্কা
শুকনো লঙ্কা
তেজপাতা
হলুদ
নুন ,
চিনি
সর্ষের তেল
ঘি
পদ্ধতি:
প্রথমে খোসা মাথা ছাড়ানো চিংড়ি মাছ গুলোকে , নুন হলুদ মাখিয়ে বেটে নিন। চিংড়ি তে জল দিয়ে বাঁটবেন না। তাতে অল্প আদা বাটা ও রসুন বাটা ও লঙ্কাগুঁড়ো দিন।
এবার কড়াই তে সর্ষের তেল গরম করে তাতে গোটা গরম মশলা, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। এবার একে একে ঘষা পেঁয়াজ , আদা বাঁটা , রসুন বাটা, টকদই , নুন , মিষ্টি ও বাকি মশলা দিয়ে কষিয়ে অল্প গুঁড়ো দুধ অল্প গরম জলে গুলে দিন। ভালো করে কষে মিশে গেলে, নারকেলের দুধ দিন। ফুটে উঠবে যখন তখন চিংড়ি মাছ বাটা টাকে হাতে বড়ার মতো দলা করে ফুটন্ত ঝোলের মধ্যে দিয়ে দিন। ওই ঝোলেই বড়া তৈরি হবে। খানিকক্ষণ ফোটার পর, বড়া ঠিক ভাবে সিদ্ধ হলে ঝোল ঠিকঠাক ঘনত্বে এলে ঘি, গরম মসলা দিয়ে নামিয়ে নিন। এই ঝোল খুব পাতলা বা খুব ঘন হয়না। আরেকটু পাতলা করতে হলে পেয়াজ রসুনের ও মশলার পরিমাপ অল্প কম রাখতে পারেন। গরম ভাতের সাথে খেতেই বেশি ভালো লাগে।