একান্ত যাপনের ঠিকানা হতে পারে সৌন্দর্যে ঘেরা দক্ষিণ ভারত
দক্ষিণ ভারত তো ছোট্ট একটু জায়গা নয়। পাহাড়, জঙ্গল, নদী, ঝরনা, হ্রদ, উদ্যান এবং চা বাগানের অপার সৌন্দর্যে ঘেরা এই জায়গা। সেখানকার মনোরম আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সারা বছর সেখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। তবে বিয়ের পর প্রথম একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া বা মধুচন্দ্রিমা একটু আলাদা করে রাখতেই হয়।
মুন্নার
কেরলের জনপ্রিয় শৈলশহর হল মুন্নার। ৫,২০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই শহরে প্রায় সারা বছরই বিরাজ করে শীত। কোচি থেকে মুন্নারের দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই যাত্রাপথের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতে পারে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পাহাড়ের ধাপে ধাপে চা বাগান, বিভিন্ন মশলার বাগান, ঝর্না, হ্রদ এবং নদী— এই সবই রয়েছে মুন্নারে।
পুদুচেরি
মনের মানুষটির সঙ্গে দু’দণ্ড মুখোমুখি বসতে চাইলে চলে আসতে পারেন পুদুচেরি। সমুদ্রসৈকতের নির্জনতা আর অপার শান্তির ঠিকানা হল এই পুদুচেরি। এই শহরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ঋষি অরবিন্দ এবং শ্রীমায়ের স্মৃতি। এক সময়ের উপনিবেশ এই পুদুচেরিতে এখনও ফরাসি প্রভাব স্পষ্ট। সারা বছরই বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা চলে।
উটি
নীলগিরি পর্বতের কোলে তামিলনাড়ুর ছোট্ট শহর উটি। বাঙালি অবশ্য উটিকে চিনতে শিখেছে ‘ছাঁইয়া ছাঁইয়া’ গানের সঙ্গে ট্রেনের উপর শাহরুখ খানের নাচ দেখে। পাহাড়, লেক এবং চা বাগানের সৌন্দর্য মনে রাখার মতো। মনের মানুষের সঙ্গে পাহাড় চূড়োয় নির্জন কোনও আস্তানা বেছে নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারেন কয়েকটা দিন।