থাই জুড়ে স্ট্রেচ মার্কস আর মুখভর্তি ব্রণ?
কখনও ব্রণ, কখনও র্যাশ আবার কখনও ত্বকে চুলকানি লেগেই থাকে। ত্বকের সবচেয়ে সাধারণ ৪টি সমস্যা হল, শুষ্ক ত্বক, ব্রণ, একজিমা ও স্ট্রেচ মার্কস। কিছু কিছু মানুষের জন্মগত শুষ্ক ত্বক হয়। আবার কারও ঠান্ডা আবহাওয়া, গরম জলে স্নান ও সূর্যালোকের ক্ষয়ের কারণে ত্বক শুকিয়ে যায়। অন্যদিকে, ব্রণ হওয়ার পিছনে তৈলাক্ত ত্বক থেকে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, পেটের গণ্ডগোল নানা কারণ দায়ী থাকে। একজিমা হল এক ধরনের ত্বকের প্রদাহ। শুষ্কভাব, চুলকানি, লালচে ভাব, ফুসকুড়ি, র্যাশের মতো সমস্যাগুলোকে একজিমা বলতে পারেন। আর গর্ভাবস্থাতেই যে স্ট্রেচ মার্কসের সমস্যা দেখা দেয়, এমন নয়। আপনি যদি হঠাৎ করে মোটা হয়ে যান, তখন পা, তলপেটে ও স্তনে স্ট্রেচ মার্কস দেখা দেয়। ত্বকের এই ৪ সাধারণ সমস্যাকে ঘরোয়া উপায়ে দূর করা সম্ভব। কীভাবে, রইল টিপস।
স্ট্রেচ মার্কসের জন্য অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা জেল ত্বক নিরাময় করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি যা ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় রাখে। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে আপনি রোজ অ্যালোভেরা জেল মাখতে পারেন। যে অংশে স্ট্রেচ মার্কস রয়েছে, তার উপর অ্যালোভেরা জেল লাগান। চাইলে তাজা অ্যালোভেরার নির্যাস ব্যবহার করতে পারেন।
ব্রণর জন্য হলুদের ফেস মাস্ক
১/২ চামচ হলুদের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে ব্রণ-প্রবণ ত্বকের উপর লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। হলুদ ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, মধু ত্বকের উপর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে। এই দুই উপাদান ব্যবহার করলে ব্রণ আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
শুষ্ক ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং মাস্ক
২ চামচ ম্যাশ করা অ্যাভোকাডো, ১ চামচ মধু ও ১ চামচ টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এরপর এই হাইড্রেটিং মাস্ক মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। তারপর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।