ঠাকুরবাড়ির স্পেশাল কিমার কোপ্তা কারি
ঠাকুরবাড়িতে রান্নাবান্না নিয়ে আলোচনা করতে গেলে যাঁদের নামগুলি সবার আগে উঠে আসে তাঁরা হলেন প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী এবং পূর্ণিমা দেবী। বৈশাখ মাসে তিনি বানাতেন কবি -সংবর্ধনা বরফি। তৈরি করতেন খোয়া ক্ষীর, বাদাম-কিশমিশ, জাফরান এবং সোনা-রূপার তবক দিয়ে। তাঁর আমিষ নিরামিষ রান্নার বই আজও বেস্ট সেলার।
বৈশাখ মাসে তিনি বানাতেন কবি -সংবর্ধনা বরফি। তৈরি করতেন খোয়া ক্ষীর, বাদাম-কিশমিশ, জাফরান এবং সোনা-রূপার তবক দিয়ে। তাঁর আমিষ নিরামিষ রান্নার বই আজও বেস্ট সেলার।ডাবের জল, ফলের রস কিংবা কচি তালশাঁস বরফে ঠান্ডা করে তা দিয়ে বানাতেন শরবত। ফল, মিষ্টি, শরবত তিনি ঢেকে দিতেন ফুলকাটা রেশমের রুমাল দিয়ে। মোরাদাবাদি খুঞ্চেতে করে সেগুলি তিনি পাঠাতেন কাছারিতে। খাবার পরিবেশনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত রুচিশীলা এবং নান্দনিক।
কিমার কোপ্তা কারির রেসিপি
- কিমা- ২০০ গ্রাম
- পেঁয়াজ- ২টি
- আদা- ১ ইঞ্চ
- রসুন- ৮ কোয়া
- কাঁচা লঙ্কা- ২টি
- হলুদ- ১ চা চামচ
- গোটা ধনে- ১ চা চামচ
- গোটা জিরে- ১ চা চামচ
- গরম মশলা গুঁড়ো- ১ চা চামচ
- পুদিনা পাতা- বেশ কয়েকটি
- চিনি- স্বাদ অনুসারে
- নুন- স্বাদ অনুসারে
- ঘি- ২ টেবিল চামচ
প্রণালী
- একটি পেঁয়াজ মিহি করে কুচিয়ে নিন। কাঁচা লঙ্কা এবং পুদিনা পাতাও আলাদা আলাদা করে কুচিয়ে নিন।
- এবার পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা এবং ধনে মিহি করে বেটে নিন। জিরা এবং ধনে গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন।
- কিমার সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, পুদিনা পাতা কুচি এবং সামান্য নুন মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এবং ছোটো ছোটো কোপ্তা গড়ে নিন।
- এবার কড়াইয়ে ঘি গরম করুন।
- গরম মশলা বাদে বাকি সমস্ত মশলা বাটা ঘি-তে দিয়ে কষিয়ে নিন। এতে স্বাদমতো নুন এবং চিনি দিয়ে দিন। মশলার তেল আলাদা হলে তাতে পরিমাণ মতো জল দিন এবং ফুটিয়ে নিন।
- জল ভালো মতো ফুটলে তাতে কাঁচা কোপ্তা দিয়ে দিন। কোপ্তাগুলি যেন খুন্তি দিয়ে নাড়বেন না।
- মিনিট পনেরো-কুড়ি জল ফুটলে তাতে গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে নিন।