ঘর সাজানোর জন্য কী কী কিনতে পারেন?
দুপুরে মিঠে রোদের ওম গায়ে মেখে কমলালেবুর খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে মেলায় ঘোরা বাঙালি, গত দু’বছর যে কী ভাবে কাটিয়েছে, তা সকলেই জানেন। কিন্তু এ বছর আর সে ভয়ের তোয়াক্কা করছেন না অনেকে। তাই শীত পড়তে না পড়তেই কলকাতার আশপাশে শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মেলা। শহরের চেনা-জানা বিভিন্ন দোকানের স্টল যেমন থাকে, তেমনই বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাঁদের হাতের কাজ নিয়ে আসেন মেলাতে। ইতিমধ্যেই হস্তশিল্প মেলায় ভিড় জমিয়েছেন অনেকে।
বিধাননগর মেলা, দমদম মেলা, বইমেলা, খাদ্যমেলা, সবলা মেলার মতো আরও অনেক মেলা হবে একে একে। যদিও অনলাইনের যুগে বাড়ি বসে ভিন্ রাজ্যের জিনিস কেনা এখন শুধু একটি ক্লিকের বিষয়। তবুও মেলায় ঘুরে, জিনিস হাতে নিয়ে দেখে, কেনার মজাই আলাদা। নানা রকম জিনিস পাওয়া গেলেও মেলার অন্যতম আকর্ষণ হল হাতের কাজের জিনিস। যা বেশির ভাগই ঘর সাজানোর কাজে লাগে। যতই সহজলভ্য হোক, যাঁরা ঘর সাজাতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য মেলায় ঘুরে আসা যেন দস্তুর।
ঘর সাজানোর এমন কোন পাঁচটি জিনিস মেলা থেকে না কিনলেই নয়?
পটচিত্র
বাংলার ঐতিহ্য বহন করে এই শিল্প। সাধারণত পাটের কাপড়ের উপর আঁকা হয় বলেই এর নাম ‘পটচিত্র’। যাঁরা এই ধরনের প্রাচীন লোকগাথা দিয়ে ঘর সাজাতে ভালবাসেন, এমন জিনিস সংগ্রহ করতে চলে যেতে পারেন শহরের কোনও একটি মেলায়।
বেতের জিনিস
অনেকেই বাড়িতে বেতের আসবাবপত্র রাখতে পছন্দ করেন। বহু মেলায় শুধু বেতের আসবাব নয়, বেতের ঝুড়ি, বেতের সাইড টেবিল, ল্যাম্প শেডের মতো আরও নানা রকম জিনিস পাওয়া যায়।
মাদুরের টেবিল ম্যাট
মেলায় পাওয়া যায় আসল মাদুর কাঠির জিনিসও। সুবিধার জন্য এখন অনেক জায়গাতেই প্লাস্টিকের মাদুর ব্যবহার করার চল হয়েছে। আবার ফ্ল্যাটের মেঝেতে মাদুর পাতা খুব শোভন বলে মনে করেন না অনেকে, তাই মাদুরের ব্যবহারও কমেছে। কিন্তু আসল মাদুর কাঠি রয়ে গিয়েছে টেবিল রানার, আসন, দেওয়ালে টাঙানোর ‘ওয়াল হ্যাঙ্গিং’-এর মধ্যে। মেলায় এমন জিনিস পাবেন।