ঠান্ডার খোঁজে পাড়ি দিতে পারেন শৈলশহরে
শীত যেতে না যেতেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হওয়া শুরু! গরম থেকে বাঁচতে একমাত্র ভরসা বাতানুকূল যন্ত্র। তা-ও শুধু বাড়িতে কিংবা অফিসে থাকলে। বাকি সময়ে ঘেমেনেয়ে একাকার অবস্থা। ছেলেমেয়ে গরমের ছুটিতে বাইরে যাওয়ার বায়না ধরেছে? তাদের ইচ্ছেপূরণ তো করতেই হবে! কলকাতার ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডার খোঁজে কোথায় যাওয়া যায়, ভাবছেন? আপনার মুশকিল আসান করতে রইল পাঁচ ঠিকানার হদিস।
মুন্নার: কেরলের মুন্নার পশ্চিমঘাট পর্বতমালার অন্যতম জনপ্রিয় শৈলশহর। পাহাড়ের মধ্যে বিস্তৃত চা বাগানের সৌন্দর্যের জন্য ব্রিটিশ আমল থেকেই মুন্নারের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দেশ জুড়ে। মুন্নারের এরাভিকুলাম জাতীয় উদ্যান বেশ কিছু বিরল পশুপাখির আবাস। পাশাপাশি, এখানে রয়েছে আত্তুকাদ, লক্কম, নাইনাক্কাডুর মতো বিখ্যাত সব জলপ্রপাত।
কুর্গ: পশ্চিমঘাট পর্বতের ঢালে কোদাগু জেলায় পাহাড়ঘেরা এক অনন্ত স্বপ্নের, যার নাম কুর্গ। তার শরীর জুড়ে সবুজের আধিক্য এবং কাবেরীর স্পন্দন। ইদানীং টুরিস্ট স্পট বাছতে গিয়ে বাঙালি কর্নাটকের এই মনোরম জায়গাটিতে একটু বেশিই ‘টিকমার্ক’ বসাচ্ছে। উঁচুনিচু পাহাড়, আঁকাবাঁকা পথ, বিরামহীন ছোট-ছোট ঝর্না, নদী, একরের পর একর জমিতে কফি চাষ— শহুরে কোলাহলের বাইরে যেন এক টুকরো স্বর্গ। মিলবে রিভার রাফটিং, জ়িপলিং, ট্রেকিং ও কায়াকিং-এর সুযোগ।
পঞ্চগনি: গরমে স্বস্তির খোঁজ করতে চাইলে আপনার গন্তব্য হতে পারে মহারাষ্ট্রের পঞ্চগনি। মুম্বইয়ের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে এই শৈলশহরের অবস্থান। মহাবালেশ্বর থেকে যেতে সময় লাগবে প্রায় আধ ঘণ্টা। দুপুরের দিকে রোদ ঝলমলে পাহাড়ের দৃশ্য আর সন্ধ্যা নামলেই হালকা হিমেল হাওয়া! ঘুরে আসতে পারেন ধুম ধাম লেক, পারসি পয়েন্ট, সিডনি পয়েন্ট, টেবলল্যান্ড, লিঙ্গমালা ঝর্না! গরমের ছুটি জমবে বেশ ভালই।