পুজোর ছুটি কাটাতে পারেন পড়শি রাজ্যে
পুজো শুরু হতে এখনও মাস দেড়েকের ওপর বাকি। কিন্তু পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট সব সোল্ড আউট। সে উত্তরবঙ্গ হোক বা উত্তর ভারত, সব ট্রেনেই প্রায় শ’য়ের উপর ওয়েটিং লিস্ট। বিমানের ভাড়াও তখন আকাশছোঁয়া। এমন অবস্থায় কী করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না? ডেস্টিনেশন বদলে ফেলুন। হিমালয়ের পাদদেশে বা সমুদ্রের তীরে যাওয়ার বদলে বিন্ধ্য পর্বতমালার কোলে ছুটি কাটাতে যান।
ছত্তিশগড়ে সুরগুজা জেলায় অবস্থিত এই মাইনপাট। রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৩৬০ কিলোমিটারের পথ। অম্বিকাপুর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাইনপাট। পাহাড়, জঙ্গল, ঝর্না দিয়ে ঘেরা মাইনপাট। ছত্তিশগড়ের তিব্বত বলা হয় এই শৈলশহরকে। প্রায় পাঁচ দশক ধরে এখানে তিব্বতিদের বসবাস। ছত্তিশগড়ের দর্শনীয় স্থান হিসেবে রয়েছে চিত্রকোট জলপ্রপাত, বারনাওয়াপাড়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বাম্বলেশ্বরী মন্দির, দন্তেশ্বরী মন্দির, কৈলাস কুটুমসার গুহা ইত্যাদি।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩,৫৬০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত মাইনপাট। ১৯৬২ সাল থেকে মাইনপাটে তিব্বতিদের বসবাস। আর সেই কারণেই গোটা শৈলশহর জুড়ে ছোট-বড় অনেক বৌদ্ধ মঠ দেখতে পাবেন। তার মধ্যে টাকপো মঠ এখানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তবে, মাইনপাটের আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে উল্টাপানি জলপ্রপাতের মধ্যে। ভিসারপানি গ্রামের মধ্যে অবস্থিত এই উল্টাপানি জলপ্রপাত। ‘উল্টাপানি’ নামের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এই জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য।