চাকরি খোয়ালেন ববিতা সরকার । সংগৃহীত ছবি
তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ববিতা। কলকাতা হাইকোর্টে সে মামলা চলে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ অঙ্কিতাকে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ দেন। সেই চাকরি পান ববিতা। এদিকে ববিতার চাকরি নিয়েও প্রশ্ন তুলে আদালতে যান অনামিকা রায় নামে আরেক চাকরিপ্রার্থী। অনামিকার বক্তব্য, ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশ না হওয়া সত্ত্বেও তিনি চাকরির আবেদনে ৬০ শতাংশ লিখেছিলেন। সে কারণেই ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর বেড়ে গিয়েছে ববিতা সরকারের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। সেই মামলার শুনানি চলছে সোমবার ।
ববিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে ভুল তথ্য দিয়েছেন। তাই বেশি নম্বর দিয়েছে কমিশন। এর প্রেক্ষিতেই ববিতার চাকরি বাতিলের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়া, অঙ্কিতা অধিকারীর থেকে পাওয়া প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ববিতাকে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
ববিতা সরকারকে অতিরিক্ত ২ নম্বর দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ নিজেই আদালতে স্বীকার করেছেন ববিতা। তাঁর বক্তব্য, মামলা চলাকালীন এসএসসি জানিয়েছে, তাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩। অথচ ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় তার নম্বর কমে ৩১ হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিষয়টি উল্লেখ করেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, সমাজে এখনও কিছু সৎ মানুষ আছেন। ববিতা নিজেই আদালতের উপর বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছেন। ববিতার চাকরি নিয়ে কী নির্দেশ দেয় আদালত, এখন সেদিকেই নজর।