ইসলামপুরে চায়ের দোকানে বসে জনসংযোগ । সংগৃহীত ছবি
শনিবার ইসলামপুরে জনসংযোগ করেন অভিষেক। উল্লেখ্য, তৃণমূল যুবরাজ পাল্টেছেন প্রচার কৌশল। সভার থেকে জনসংযোগে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, আরও বেশি বুথে পৌঁছানো তাঁর লক্ষ্য। শীঘ্রই প্রকাশিত হবে নয়া রুট ম্যাপ ।
এদিন তিনি তুলে ধরেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের কথা। ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলেও দাবি করেন অভিষেক। বলেন, বাংলায় বিজেপি হেরেছে বলেই রাজ্য শিকার হচ্ছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার। চা দোকান থেকে বলেন, রাজ্যের প্রাপ্য আদায়ে সাধারণ মানুষদের নিয়ে তিনি দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করবেন।
ঘর নিয়ে সমস্যার কথা জানাতে তাঁর কাছে অভিযোগ আসে। সেই আবাস যোজনা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ২ বছর আগে কেন্দ্রের কাছে তালিকা পাঠিয়েছে রাজ্য। এই প্রকল্পে কেন্দ্র ৬০ এবং রাজ্য ৪০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করে। অভিষেকের দাবি, রাজ্য তাঁর ফান্ড রেখেছে কিন্তু কেন্দ্র প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। এদিন তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। অভিষেকের বক্তব্য, কেন্দ্র রাজ্যের জন্য রাস্তা তৈরির বরাদ্দ টাকা থেকে ১০ পয়সাও দেয়নি। সমস্ত উদ্যোগ বাংলার সরকারের।
চায়ের দোকানে এসেই তিনি দোকানের মালিক এক মহিলার ছেলে মেয়েদের আসতে বলেন। জিজ্ঞাসা করেন, রোজ কত টাকা রোজগার হয়। বাড়ি আছে কিনা, বাচ্চারা স্কুলে যায় কিনা? চায়ের দোকানি মহিলা হলেন, স্বামী তাঁর সঙ্গে থাকেন না। স্বামী পরিত্যক্তা তিনি। পাঁচ ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার। তাদের স্কুলে পাঠাতে পারেন না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাননি, আবাস য়োজনার বাড়ি পাননি। অর্থাত্ ঘরের দরজায় বলে মানুষের অভাবের কথা শুনলেন অভিষেক। মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন, আমি তোমাদেরই লোক।