১৫০ বছরের পুরোনো ভারতীয় দণ্ডবিধি
১৫০ বছরের পুরোনো ভারতীয় দণ্ডবিধি, ভারতীয় ফৌজদারি আইন এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের বদলে, এই তিনটি বিল আনা হচ্ছে। এদিন, লোকসভায় এই তিন বিলের উপর বিতর্ক হয়। যদিও, গণহারে সাসপেন্ড করার জেরে, বিরোধী আসনে প্রায় কোনও সাংসদ ছিলেন না বললেই চলে। বিরোধী-শূন্য লোকসভাতেই এই বিলের বিষয়ে আলোচনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি বলেন, লাল কেল্লা থেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, দেশকে ঔপনিবেশিক আইন থেকে মুক্ত করতে হবে। এরপর ২০১৯ সাল থেকে এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। অমিত শাহ বলেন, ব্রিটিশ আমলের আইনগুলি প্রজাদের শাসন করার জন্য তৈরি করেছিল বিদেশি শাসকরা। এই আইনগুলি দেশের মানুষের জন্য করা হয়নি, ব্রিটিশ রাজত্ব কায়েম রাখার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল। স্বাধীনতার পর সেই আইনের বদলের প্রয়োজন ছিল। নয়া তিনটি আইন আমাদের দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্তি দেবে। সংবিধানের চেতনায় এই আইনগুলি তৈরি করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “যারা বলে এই তিনটি নয়া বিল আনার প্রয়োজন কী, তারা বোঝে না।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, এই আইনগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ব্যক্তি স্বাধীনতা বজায় থাকে এবং সবাই যাতে আইনের চোখে সমান আচরণ পায়। অমিত শাহ জানান, ব্রিটিশ শাসনের অনেক আগে থেকেই ভারতীয় সমাজে ন্যায়বিচারের ধারণা প্রচলিত ছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, বহু ভারতীয় দর্শনকে এই তিন বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ন্যায়বিচার থেকেই শাস্তির ধারণা এসেছে। শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য হল নির্যাতিতকে ন্যায়বিচার দেওয়া এবং মানুষ যাতে আর অপরাধ না করে, তা নিশ্চিত করা।
অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন, আগামী ১০০ বছরে গোটা বিশ্বে অনেক প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ঘটবে। নয়া তিন বিলে, সেই ভবিষ্যতের কথা ভেবেও আইনের বিধান রাখা হয়েছে। সাইবার অপরাধের জন্যও অনেক বিধান রাখা হয়েছে।
অমিত শাহ আরও দাবি করেছেন, নয়া তিন বিলে, পুলিশ ও নাগরিকের অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রাখা হয়েছে। এর ফলে শাস্তি প্রদানের সংখ্যা বাড়বে। ন্যায়বিচার, সমতা এবং নিরপেক্ষতার ধারণাকে বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ফরেনসিক বিজ্ঞানও।