ভিউ পেতে বিমান থেকে ঝাপ এক ইউটিউবার ! সংগৃহীত ছবি
ভাইরাল হলেই ভিউ। ভিউ মানেই টাকা। ইউটিউবে টাকা কামানোর লোভে অনেকেই আজব আজব ভিডিয়ো বানিয়ে থাকেন ।বিমানটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিধ্বস্ত করা হলেও কর্তৃপক্ষের কাছে এটিকে দুর্ঘটনা বলে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন জ্যাকব। তাই বলে ইচ্ছাকৃতভাবে বিমান ক্র্যাশ করানো? আজ্ঞে হ্যাঁ, ভিউয়ের লোভে এমনই কাজ করেছিলেন এক ইউটিউবার । জ্যাকবের তৈরি নাটকীয় ওই ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, মাঝ আকাশে বিমানটি নিয়ে উড়ছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে বিমানটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। পরে একটি প্যারাস্যুট নিয়ে বিমান থেকে তিনি লাফ দেন। এসময় তার হাতে ছিল একটি সেলফি স্টিক। এর মাধ্যমে উড়ন্ত অবস্থায় ভিউয়ারদের কাছে ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিলেন তিনি।
ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করা হলেও কর্তৃপক্ষের কাছে বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে একটি প্রতিবেদন জমা দেন জ্যাকব। তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এ সময় জ্যাকব তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেন, তিনি জানেন না প্লেনটি কোথায় নেমে গেছে। যদিও তদন্তে বেরিয়ে আসে তিনি ও তার এক বন্ধু একটি হেলিকপ্টার নিয়ে বনের ভেতর থেকে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ এবং এতে স্থাপন করা ক্যামেরা থেকে ভিডিওগুলো উদ্ধার করেছিলেন।
এ ঘটনার জের ধরে কিছুদিনের মধ্যেই জ্যাকবের বিমান চালানোর লাইসেন্স বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। তদন্তে বেরিয়ে আসে বিমান দুর্ঘটনার নাটকটি সাজাতে একটি কোম্পানির কাছ থেকে স্পন্সর নিয়েছিলেন তিনি।
ভিডিয়ো ক্যামেরা এবং সেলফি স্টিক নিয়েছিলেন। উড়ানের প্রায় ৩৫ মিনিট পরে, সান্তা মারিয়ার কাছে লস প্যাড্রেস জাতীয় উদ্যানের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে এই আজব কাণ্ড করেন। ।সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নিজের অপকর্মের কথা আদালতে স্বীকার করতে সম্মত হয়েছেন জ্যাকব। এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।