মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছেই ভুয়ো পুলিশের গাড়ি আটক
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে পাকড়াও হন এক আগন্তুক। তাঁর কাছ থেকে মেলে প্রচুর সিম কার্ড এবং একটি লোহার রড। পুলিশ জানতে পারে পুরো এক রাত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতরে ঘাপটি মেরে ছিলেন হাফিজুল মোল্লা নামে ওই ব্যক্তি। ঠিক এক বছর ১৭ দিন পর আবারও শোরগোল। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার আর এক আগন্তুক। তাঁর নাম শেখ নুর আমিন। তবে হাফিজুলের মতো শুধু লোহার রড নয়, নুরের কাছে মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র, ভোজালি এবং মাদক দ্রব্য। কী কারণে ২১ জুলাই, শুক্রবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির সামনে গিয়েছিলেন তা তদন্তসাপেক্ষ।
ধর্মতলায় তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের মঞ্চে আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই যোগ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাড়ি থেকে আর আধ ঘণ্টার মধ্যে বেরিয়ে পড়ার কথা তাঁর। আচমকা শুরু হইচই। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি লাগোয়া ‘মিলন সংঘ’ ক্লাবের গেটের পাশ দিয়ে নিরাপত্তার বেড়াজাল ডিঙিয়ে জোর করে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়তে চান এক যুবক। তাঁকে বাধা দেয় কালীঘাট থানার পুলিশ। কিন্তু ওই চালক বেপরোয়া। তাঁকে পাকড়াও করে চমকে যায় পুলিশ। একে একে উদ্ধার হয় ভোজালি, আগ্নেয়াস্ত্র।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নুর আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের আলিগঞ্জ কসাইপাড়ার বাসিন্দা। তবে কলকাতায় তাঁর ব্যবসা রয়েছে। প্রায় তিন বছর ধরে পঞ্চান্ন গ্রামের মার্টিনপাড়ায় একটি দোকান রয়েছে নুরের। স্থানীয়দের দাবি, দোকানটি নুর কিনেছিলেন। ‘ইন্টিরিয়র ডেকরেশন’-এর ব্যবসা আছে তাঁর। ওই দোকানে বসেই কাজ সামলান নুর। কৃষ্ণ দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, ‘‘দোকানটি বেশ সাজানো-গোছানো। মাঝেমধ্যে সেখানে নুরের এক ভাই আসতেন।’’ জানা যাচ্ছে, ওই দোকানের পিছনে একটি ঘরে থাকেন নুর। এর আগে ওই মার্টিনপাড়াতেই অন্য একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। যদিও নুরের বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানেন না বলেই জানিয়েছেন স্থানীয়েরা।