ববিতার কাছ থেকে প্রাপ্ত মোটা অর্থ । সংগৃহীত ছবি
কেবল চাকরিই হারালেন না ববিতা সরকারও। দ্রুত ফেরৎ দিতে হবে তাঁর পূর্বসূরী অঙ্কিতার কাছ থেকে প্রাপ্ত মোটা অর্থ।মাথায় হাত শিলিগুড়ির বাসিন্দা ববিতার। মঙ্গলবার চাকরি বাতিলের সঙ্গে চাকরির টাকাও ফেরত দিতে ববিতাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার চাকরি অতীতে বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। এ বার ববিতার চাকরিই বাতিল করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
শিলিগুড়ির ববিতার চাকরি বাতিলের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরই শহরের আর এক এসএসসি পরীক্ষার্থী অনামিকা। অভিযোগ ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশন-এর কাছে আবেদন করার সময় ববিতার স্নাতক স্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। যার ফলে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে গিয়েছে। সেখান থেকেই তৈরি হয় যাবতীয় জটিলতা। এই নিয়ে মামলাতেই ববিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।
আগামী ৬ জুনের মধ্যে ববিতাকে ১৫ লক্ষ টাকা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী বুধবারের মধ্যে তাঁকে ১১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তবে এত দিনে চাকরির জন্য যে বেতন পেয়েছেন ববিতা, সেই টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে না।
অঙ্কিতার চাকরি যাওয়ার পর তাঁর টাকা বিভিন্ন কিস্তিতে ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মতো যে টাকা পেয়েছিলেন ববিতা, সেই টাকা ফেরত দিতে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ববিতাকে মোট ১৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৪৩ টাকা ফেরত দিতে হবে।
ববিতার চাকরি পাচ্ছেন অনামিকা রায়। ববিতার সমস্ত টাকা জমা দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সেই টাকা দেবেন অনামিকাকে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরবর্তী নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ববিতা অংশ নিতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। এই নির্দেশ পাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছেন ববিতা। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ১১ লক্ষ টাকা দিতে পারবেন। বাকি টাকা ফেরতের জন্য ৩ মাস সময় চেয়েছেন তিনি। একটি গাড়িও কিনেছেন বলে জানান ববিতা।
এই প্রসঙ্গে অনামিকা বলেন, ‘‘আগে আমি চাকরিতে যোগ দিই, তার পর টাকার বিষয়ে ভাবব। অর্ডার কপি আমার হাতে এলে আরও ভাল করে এ বিষয়ে জানতে পারব।’’