রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
মুম্বইয়ে ‘ইন্ডিয়া’র সম্মেলন শুরুর ঠিক একদিন আগে কংগ্রেস নেতার সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই বৈঠক জাতীয় বিরোধী রাজনীতিতে ছোটখাটো বিস্ফোরণের সমতুল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেস এবং তৃণমূল— উভয় শিবির সূত্রেই দাবি, এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই শিবিরেরই মতের নির্যাস, দীর্ঘ রাজনৈতিক চড়াই-উতরাই পার হয়ে এ দিন এই মুখোমুখি বসা।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ‘মুখ’ রাহুল এবং তৃণমূলের নতুন প্রজন্মের নেতা অভিষেক মোদী-বিরোধী রাজনীতির রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করলেন দীর্ঘ সময়। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আলোচনা হয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের সার্বিক রণকৌশল, পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক বোঝাপড়ার মতো বিষয়গুলি নিয়ে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, আগামী দু'দিন রাহুল এবং অভিষেক একই শহরে অর্থাৎ মুম্বইয়ে থাকবেন। থাকবেন একই সভাকক্ষে।
এই বৈঠকের জন্যই অভিষেক আলাদা করে দিল্লিতে চলে গিয়েছিলেন মুম্বই যাওয়ার আগে। সরাসরি মমতার সঙ্গে মুম্বই যাননি। এর আগে বেঙ্গালুরুতে বিরোধী বৈঠকে মমতা ও রাহুলের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া দেখা গিয়েছিল। মমতা সাংবাদিক সম্মেলনের মঞ্চ থেকে রাহুলকে 'আমাদের সকলের প্রিয়' বলে সম্বোধন করেন। জোটের নামকরণ করেন দু’জনে একত্রে।
তৃণমূল নেত্রী মমতার সঙ্গে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এবং সনিয়ার ঘনিষ্ঠতা বহু পুরনো। কিন্তু বেঙ্গালুরু বৈঠকের আগে পর্যন্ত গত কয়েক বছরে রাহুলের সঙ্গে সেই সখ্য কিংবা সম্পর্কের উষ্ণতা কিন্তু আদৌ দেখা যায়নি তৃণমূল নেতৃত্বের। বরং কংগ্রেস সম্পর্কে জাতীয় স্তরে তৃণমূলের ‘অ্যালার্জি’ই ফুটে বেরিয়েছে। অন্য দিকে, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী-সহ বাংলা কংগ্রেস ব্রিগেড নিয়োগ দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যে তুলোধনা করেছে তৃণমূলকে।