সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মিলল না অভিষেকের
শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত হস্তক্ষেপ করছে না তারা। এ ক্ষেত্রে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে কোনও রক্ষাকবচও দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ, আপাতত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই কিংবা ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। ১০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট, তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার অবকাশকালীন বেঞ্চ জানায়, বাকি তদন্তে এখনই হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। অন্য দিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলায় নতুন মামলা দায়ের করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য। মামলা দায়েরের অনুমতি চান রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। গরমের ছুটির পর মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত শনিবার অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই বিষয়ে সোমবার শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিষেকের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জিও জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং সঞ্জয় কারোলের ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানান অভিষেক। “পরের বার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হবে” বলে শীর্ষ আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মনু সিঙ্ঘভি। কিন্তু দ্রুত শুনানির আর্জি মঞ্জুর করা হয়নি।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল অভিযোগ করেছিলেন, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই তাঁকে অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন কুন্তল। তার পর পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে সেই চিঠি যায় হেস্টিংস থানায়। এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, কেন্দ্রীয় সংস্থা চাইলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
অভিযোগ, এক দিনেরও কম সময় দিয়ে অভিষেককে ডাকা হয়েছে, যা নিয়মবিরুদ্ধ। প্রকাশ্যেই তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিষেক। সে বিষয়েও শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। শনিবার তাঁকে নিজাম প্যালেসে টানা সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেরিয়ে এসে যাকে ‘সময় নষ্ট’ বলে অভিহিত করেছিলেন অভিষেক।