ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে অভিষেকের মুখে ‘ইন্ডিয়া’
‘‘নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণেই ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় কমিটির বৈঠকে হাজির হতে পারেননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ কয়েক ঘণ্টা পরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দফতর থেকে বেরিয়ে অভিষেক বললেন, ‘‘আমার প্রতি ‘ইন্ডিয়া’র প্রবীণ নেতারা যে ভাবে সমর্থন জানিয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’’
ইডির দফতরে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে সওয়া ন’ঘণ্টা পর বেরিয়ে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক বেণুগোপালের নামও করলেন অভিষেক। যা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। কিন্তু সর্বভারতীয় কংগ্রেসের প্রশংসা করার পাশাপাশি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাবে অভিষেক নিশানা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসকে। তাঁর বিরুদ্ধে ইডির তদন্ত নিয়ে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় এবং প্রদেশ নেতৃত্বের ‘পরস্পরবিরোধী’ অবস্থানের দিকে ইঙ্গিত করে সনিয়া গান্ধীর দলের ‘শৃঙ্খলা’ নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন। অভিষেক আরও বলেন, ‘‘ওঁরা (প্রদেশ কংগ্রেস) যদি দলের নেতৃত্বকে অগ্রাহ্য করেন আমি কী বলতে পারি? কংগ্রেসের দলীয় শৃঙ্খলা কোথায় সেটা কংগ্রেস বিচার করুক। তৃণমূলের প্রসঙ্গ হলে আমি বলতে পারতাম।’’
বুধবার অভিষেককে তলব করেছিল ইডি। আবার ওই দিনই ছিল দিল্লিতে বিজেপি-বিরোধী জোটের ‘সমন্বয় কমিটি’র প্রথম বৈঠক। কমিটির সদস্য হিসাবে সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। কিন্তু তার আগেই ইডির নোটিস আসে তাঁর কাছে। বুধবারই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে এসে দেখা করতে বলা হয়। ইডির সমন পাওয়ায় ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় প্রথম বৈঠকে গরহাজির অভিষেকের জন্য বুধবার একটি চেয়ার ফাঁকা রেখে বৈঠক করেন বিরোধী নেতারা।