সাড়ে ছ’ঘণ্টা পর এসএসকেএম থেকে বেরোল অ্যাম্বুল্যান্স
শুক্রবার সকালেই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্সও। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে খবর মেলে, আচমকাই ‘কাকু’র শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাঁকে কেবিন থেকে সরিয়ে হৃদ্রোগ বিভাগের আইসিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। যার ফলে তাঁকে আদৌ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। শেষ পর্যন্ত, ‘কাকু’কে না নিয়েই ফিরে যেতে হল ইডি।
ইডি জানিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ আইসিসিইউ-তে ভর্তি আছেন বলেই তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভব হল না। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিক মিথিলেশ কুমার মিশ্র বলেন, ‘‘সব বিষয় খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল যে, শুক্রবারই সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে চায় তারা। নিয়োগ মামলায় সুজয়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর গলার স্বরের নমুনা অনেক দিন ধরে সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। কিন্তু বার বার তাতে বাধা আসছে বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও ইডি প্রশ্ন তুলেছে।
সুজয়কৃষ্ণের অসুস্থতা নিয়ে এসএসকেএমের সুপার পীযূষ রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। জানিয়েছেন, যা বলার তিনি ইডিকে বলেছেন। সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়ে কিছু বলবেন না।
আদালতের নির্দেশে ‘কালীঘাটের কাকু’র স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাই জোকা ইএসআই হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত সেই বোর্ড বিবেচনা করে দেখবে, আদৌ সুজয় গলার স্বরের নমুনা দিতে শারীরিক ভাবে প্রস্তুত কি না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সুজয়কে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আগে মেডিক্যাল বোর্ড তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখবে। যদি তাঁরা সবুজ সঙ্কেত দেন, তবেই সংগ্রহ করা যাবে ‘কাকু’র গলার স্বরের নমুনা। ইতিমধ্যে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে সুজয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ইডিকে দেওয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালে ভর্তি আছেন রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও।