পঞ্চায়েত ভোটে জেলেই অনুব্রত
গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিন না পেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, আসানসোল জেলের মধ্যে গ্রেফতারের সময় ইডি আইন অনুযায়ী কাজ করেনি। কিন্তু ইডি জামিনের বিরোধিতা করে জনিয়েছে, সিবিআই গ্রেফতার করার পরে অনুব্রত জেলে ছিলেন। সেখান থেকে তিনি জামিন পেয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা থেকেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, ১৮ জুলাই এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।
অনুব্রতকে বেআইনি ভাবে আটকে রাখা হয়েছে বলে তাঁর আইনজীবীরা দিল্লি হাই কোর্টে হেবিয়াস কর্পাসের মামলা করেছিলেন। কাউকে বেআইনি ভাবে আটক করা হয়েছে অভিযোগে হেবিয়াস কর্পাসের মামলায় আদালতের কাছে ওই ব্যক্তিকে সশরীরে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশের আর্জি জানানো হয়। কিন্তু সেই মামলাও ধোপে টেকেনি। অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত জৈনের বক্তব্য ছিল, ৮ মে-র পর থেকে অনুব্রতকে বেআইনি ভাবে তিহাড় জেলে রাখা হয়েছে। তাঁকে জেলে পাঠানোর কোনও নির্দেশ জারি হয়নি। তার পরে তাঁকে আদালতেও পেশ করা হয়নি।
জামিনের আর্জি মামলায় অনুব্রতের হয়ে আইনজীবী নরেন্দ্র হুডা যুক্তি দেন, আসানসোল জেলে অনুব্রতকে গ্রেফতারের পরে আইনমাফিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করা হয়নি। ইডি-র হয়ে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু বলেন, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে গ্রেফতারের পরের দিনই আদালতে হাজিরার পরোয়ানার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। আইনমাফিক সেখানেই গ্রেফতারির কথা আদালতকে জানানো হয়েছিল।এর আগে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে অনুব্রতের জামিনের আর্জি, আসানসোল জেলে ফেরত পাঠানোর আর্জি খারিজ করে দিয়েছিলেন বিশেষ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহ। অনুব্রতের তরফে বিচারক পক্ষপাতিত্ব করছেন বলে মামলা করা হয়েছিল।