রাগান্বিত হয়ে সুকন্যা বলেন, “কাউকে ছাড়া হবে না।'' সংগৃহীত ছবি
তিহাড়ে কষ্ট পাচ্ছেন অনুব্রত, জানতে পেরেই পাগলামী, বাড়িতে ভাঙচুর সুকন্যার
বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে । এখানে থাকা অবস্থায় আর পশ্চিমবঙ্গের জেলের মতো সুযোগ-সুবিধা তিনি পাচ্ছেন না বলে জানা যাচ্ছে। সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে রীতিমত কষ্টে কাটাতে হচ্ছে কেষ্টকে। পাশাপাশি অভিযোগ উঠছে হেনস্থার। আর এই সকল খবর জানতে পেরে রীতিমতো ক্ষেপে গেলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতাদের সামনে চিৎকার করে সুকন্যা বলতে থাকেন, "আমরা বাবার খবর এখন আর কেউ নেয় না। সবাই সরে গিয়েছে।" এমনকী বিপদের সময় সবাই 'মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে' বলেও চিৎকার করে বলতে থাকেন সুকন্যা।
শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি ফিরলে পরিচারিকা এবং অন্যদের থেকে জানতে পারে তার বাবা অনুব্রতকে তিহাড় জেলে অমানবিক অত্যাচার করা হচ্ছে। এরপরই রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে মাথা ঠিক না রাখতে পেরে বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র-সহ প্রয়োজনীয় জিনিস ভাঙতে শুরু করেন। বেগতিক দেখে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা বীরভূম জেলার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে খবর দেয়। মুহূর্তের মধ্যে একের পর এক নেতাকর্মী হাজির হন।ভেঙে পড়েন অনুব্রত কন্যা। রাগান্বিত হয়ে আরও বলেন, “কাউকে ছাড়া হবে না। বাবার কিছু হলে কেউ রেহাই পাবেন না।” চিৎকার চেঁচামেচিতে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। যদিও শনিবার সকাল দশটার পর ঘুম থেকে ওঠেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। স্বাভাবিক রয়েছে সবকিছু। মা প্রয়াত হয়েছেন বছর দুয়েক আগে, বাবা তিহাড় জেলে। এই অবস্থায় মানসিক অবস্থা ঠিক না রাখতে পেরেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সুকন্যা। এ ব্যাপারে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কিছুই জানায়নি।