২৭ জন পর্যটককে জীবিত উদ্ধার করেছে সেনা
সিকিমে তুষারধস ! গত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় । আটকে থাকা পর্যটকদের ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী । এখনও পর্যন্ত 7 জন পর্যটক মারা গিয়েছেন জানা গিয়েছে । এদের মধ্য রয়েছেন 2 জন বাঙালি। তবে তাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি ।আবহাওয়ার খাম খেয়ালিপনা উদ্ধার কার্যে আরও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বলেই দাবি প্রশাসনের ।
সিকিমে তুষারধসে মৃত্যু হয়েছে সাত পর্যটকের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে 11 জন । প্রায় 5-6টা গাড়ির সঙ্গে বরফে আটকে পড়েন প্রায় 30 জন পর্যটক । ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছাড়িয়েছে ওই পাহাড়ি রাজ্যে । প্রশাসন সূত্রে খবর, বিকেল চারটে পর্যন্ত সাত জন পর্যটকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক মহিলা ও এক শিশু রয়েছে। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে রয়েছেন 2 বাঙালি । তবে তাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি । বাকি পাঁচ জনের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের 2 জন ও নেপালের 3 জন । তবে 27 জন পর্যটককে জীবিত উদ্ধার করেছে সেনা। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে গ্যাংটক থেকে 28 কিলোমিটার দূরে পূর্ব সিকিমের সঙ্গমো লেকের কাছে 13 থেকে 17 মাইলের মধ্যে জেএন রোডে ওই তুষারধসের ঘটনাটি ঘটেছে । প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুর 11টা 30 মিনিট নাগাদ এই ভয়াবহ তুষারধস হয়। ধসের জেরে রাস্তার উপরে থাকা পর্যটকরা খাদে ছিটকে পরেছেন বলে জানা গিয়েছে । ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পর্যটকদের মধ্যে। খাদে পরে যায় বেশ কয়েকটি পর্যটকবোঝাই গাড়িও ।
উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন ভারতীয় সেনা, সিকিম পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বেশ কয়েকজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গ্যাংটকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এখন পর্যন্ত চলছে উদ্ধার কাজ। আর কেউ তুষার ধসে আটকে পড়েছেন কি না, তাও দেখা হচ্ছে।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন । তিনি টুইট করে বলেন, "নিহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমার সমবেদনা। পুরো বিষয়ের উপর কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও রয়েছে । আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। "চলতি মরশুমে একাধিকবার তুষার ধস নেমেচে সিকিমে। ধসের জেরে উত্তর ও পূর্ব সিকিমের একাধিক পর্যটনকেন্দ্রে গাড়ি আটকে যায়।