বাংলায় তৃণমূলকে ছাপিয়ে যাচ্ছে বিজেপি
অধিকাংশ সমীক্ষারই ইঙ্গিত, সদ্য শেষ হওয়া সাত দফার লোকসভা ভোটে বাংলার ৪২টি আসনের লড়াইয়ে তৃণমূলকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে বিজেপি। শনিবার সপ্তম দফার ভোট শেষ হতেই বিভিন্ন সংস্থার সমীক্ষা প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। আনন্দবাজার অনলাইন তার মধ্যে থেকে তিনটি সংস্থার সমীক্ষা তুলে ধরছে। সেই তিনটি সমীক্ষাতেই স্পষ্ট, আসনের বিচারে এ বার সবার উপরে থাকছে বিজেপি। তৃণমূল দু’নম্বরে। আসন সংখ্যা থেকে ভোট শতাংশ— দু’টি ক্ষেত্রেই রাজ্যের শাসকদলকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে কেন্দ্রের শাসকদল।
ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস বলছে, বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত যে সব সময় মেলে, এমন নয়। বুথফেরত সমীক্ষা একেবারে ভুল প্রমাণিত হওয়ার উদাহরণও অসংখ্য। বুথফেরত সমীক্ষার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তবে বুথফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস মিলে যাওয়ার উদাহরণও রয়েছে। ভোট পণ্ডিতদের একাংশ মনে করেন, এই ধরনের সমীক্ষায় মোটের উপর ভোটারের মনের একটি আভাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বাংলার ৪২টি লোকসভার মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ২৩-২৭টি আসন। ভোট হতে পারে ৪২.৫ শতাংশ। তৃণমূলের ২২ থেকে কমে হতে পারে ১৩-১৭টি আসন। ভোট শতাংশও কমতে পারে বলে আভাস মিলেছে এই সমীক্ষায়। তৃণমূল পেতে পারে ৪১.৫ শতাংশ ভোট। বাম-কংগ্রেসের মিলিত ভোট হতে পারে ১৩.২ শতাংশ। ১-৩টি আসন জিততে পারে তারা।
প্রতিটি সমীক্ষাতেই উল্লেখ করা হয়েছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে বিবিধ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তা বাংলার শাসকদলের আসন এবং ভোট কমানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে। কিছু কিছু আসনে সংখ্যালঘু ভোটও তৃণমূলের থেকে সরে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে সমীক্ষায়।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। পদ্মশিবিরের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪০.৬ শতাংশ। তৃণমূল পেয়েছিল ২২টি আসন। বাংলার শাসকদলের ঝুলিতে ভোট ছিল ৪৩.৭ শতাংশ। কংগ্রেস পেয়েছিল দু’টি আসন। বামেরা ছিল শূন্য।