কাবাড়ির দোকান থেকে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি আধারকার্ড । সংগৃহীত ছবি
কাবাড়ি খানা থেকে উদ্ধার বস্তাবন্দি আধার কার্ড, পোস্ট অফিসের পাশবই-সহ একাধিক এটিএম কার্ড। ওই উদ্ধার হওয়া আধার কার্ড, প্যান কার্ড, পাশবই ও এটিএম কার্ডে পোস্ট অফিসের লোগো দেওয়া ৷ ঘটনার জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়া শহরের 14 নম্বর ওয়ার্ডের ভগৎ সিং মোড় এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া ডাকঘর কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ। উল্লেখ্য, এর আগে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের ফাঁকা মাঠে গর্ত করতে গিয়ে পাওয়া যায় বস্তাবন্দি আধার কার্ড। পাঁচিলের ভিতের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় উদ্ধার হয় একটি পলিথিনের ব্যাগ। ব্যাগ খুলতে দেখা যায় তার ভিতরে রয়েছে কয়েকশো আধার কার্ড।গুনে দেখা যায় প্রায় 700টি আধার কার্ড রয়েছে ওই ব্যাগটিতে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ গিয়ে আধার কার্ড গুলি উদ্ধার করে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে বারবার এভাবে পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে আধার কার্ড। এমন আধার কার্ড উদ্ধারের ঘটনায় এলাকাবাসীর আশাঙ্কা, এসবের জেরে আরও অন্য বিপদও হতে পারে। বর্তমানে, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, আধার নম্বরের সঙ্গে প্যান থেকে শুরু করে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টও লিংক করা থাকে। এই ধরনের কার্ডের সাহায্য়ে সেই ব্যক্তিগত নথিতে হাত পড়তে পারে দুষ্কৃতীদের বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেকে ৷
সরকারি নিয়ম অনুসারে আধার কার্ড আবেদন করার পর, সেই কার্ড তৈরি হয়ে গেলে কার্ডগুলি ডাক বিভাগের কর্মীরা গ্রাহকদের ঠিকানায় পৌঁছে দেন। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে আবেদনকারীর ঠিকানার পরিবর্তে কাবাড়ির দোকানে পৌঁছে যাওয়ায় ডাক বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে ডাক বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট নিমাইচন্দ্র সরেন বলেন, এটিএম তো স্পিড পোস্টে আসে। সেটা যার নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার কাছে যাবে, না হলে ফিরে যাবে। কাবাড়ির দোকানে যাওয়ার কথা নয়। আর অত আধার কার্ড ) ওই দোকানে কী করে গেল তা তদন্ত করে দেখা হবে।
জানা গিয়েছে, ডাক বিভাগের আধিকারিকরা বিষয়টি জানার পরই ডাক বিভাগের দুই আধিকারিক ওই কাবাড়ি দোকানে হানা দেন। উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ বস্তা আধার কার্ড সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বস্তাসহ দোকানের দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানায় নিয়ে আসে।