‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি ! সংগৃহীত ছবি
দ্য কেরালা স্টোরি সিনেমাটির প্রর্দশনী রাজ্যে নিষিদ্ধ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । যদিও এই ছবির পক্ষ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । ষদিো এর আগেও বহু রাজ্য এই ছবি প্রর্দশনী খারিজ করে দিয়েছেন । ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই ছবির সমালোচনা করেন। দ্য কেরালা স্টোরি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ প্রসঙ্গও টেনে এনে বলেছিলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলি আগুন নিয়ে খেলছে। তারা জাত-ধর্ম-বর্ণ নিয়ে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। কাশ্মীর ফাইলস কেন? একটি সম্প্রদায়কে হেনস্তা করার জন্য। কেরালা ফাইলস কেন? সেও এক অসত্য এবং বিকৃত কাহিনী ।
বিজেপি বিরোধী রাজ্য তামিলনাড়ু। সেখানেও কেরলের মতোই এই ছবি ঘিরে বির্তক-বিক্ষোভ। একাধিক রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন প্রেক্ষাগৃহের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে— এই মর্মে ছবির প্রর্দশন বন্ধ করল তামিলনাড়ু থিয়েটার ওনার্স অ্যাসোশিয়েশন। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, এই ছবি দেখতে দর্শক একেবারেই আসছেন না হলগুলিতে। গত শুক্র-শনিবার নাকি একেবারেই ফাঁকা ছিল হলগুলি। সেখানে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-কে সরিয়ে মণি রত্নমের ‘পোন্নিয়ান সেলভান’-কে শো দেওয়া হয়েছে। ছবির ট্রেলার দেখেই বিতর্কের মেঘ ঘনিয়েছিল ।
’‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে হিন্দু এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ৩২ হাজার মহিলাকে ধর্মান্তরণের কথা বলা হয়েছে। যা মিথ্যা বলে দাবি করেছিল কেরালার বাম সরকার। সোমবার ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে প্রতিবাদ জানালেও মমতা কেরলের শাসকদলকে সমর্থন করেননি। এ ব্যাপারে মমতা স্পষ্ট বলেন, ‘‘আমি সিপিএমকে সমর্থন করি না। আমি মানুষের কথা বলছি। সিপিএম তো বিজেপির সঙ্গে মিলে কাজ করছে। এই সমালোচনা আমার করার বদলে ওঁর নিজেরই করা উচিত ছিল। ওরা একসঙ্গে হাঁটে। সেই বিজেপিই কেরালা স্টোরি দেখাচ্ছে।’’