প্রতি বলে রং বদলাল বেঙ্গালুরু-লখনউ ম্যাচ
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ফলাফল এল শেষ বলে। মনে করিয়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে রিঙ্কু সিংহের লড়াই। শেষ ওভারে জয়ের সম্ভাবনা ছিল দু’দলেরই। প্রতি বলে রং বদলাল বেঙ্গালুরু-লখনউ ম্যাচ। চতুর্থ বলে দু’দলের রান সমান হয়ে যাওয়ার পর কোহলিদের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। বেঁচে ছিল ম্যাচ টাই করার আশা। শেষ বলে হর্ষল পটেল রবি বিষ্ণোইকে রান আউট করার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ঘরের মাঠেও জিততে পারল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
জয়ের জন্য ২১৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় লখনউ। মাত্র ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান রাহুলরা। তাও জয় এল মার্কাস স্টোইনিস এবং নিকোলাস পুরানের অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে। লখনউয়ের ওপেনার কাইল মেয়ার্সকে (শূন্য) শুরুতেই আউট করেন মহম্মদ সিরাজ। দ্রুত সাজঘরে ফিরলেন দীপক হুডা (৯) এবং ক্রুণাল পাণ্ড্যও (শূন্য)। তাঁদের আউট করলেন ওয়েন পার্নেল। এর পর দলের ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক রাহুল এবং স্টোইনিস। রাহুল উইকেটের এক দিক ধরে রেখেছিলেন। আগ্রাসী মেজাজে রান তুললে শুরু করেন স্টোইনিস। তাঁদের চেষ্টাও অবশ্য বিশেষ কাজে এল না। স্টোইনিস আউট হওয়ার পর সাজঘরে ফিরলেন রাহুলও। অসি অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে এল ৩০ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। ৬টি চার এবং ৫টি ছক্কা দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংস। রাহুল আউট হলেন ২০ বলে ১৮ রান করে। মারলেন ১টি চার। লখনউ অধিনায়কের ইনিংস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পক্ষে বড়ই বেমানান। তবু লখনউ ম্যাচ জিতল পুরানের দাপুটে ব্যাটিংয়ে। মাত্র ১৫ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন তিনি। এ বারের আইপিএলে এটাই দ্রুততম অর্ধশতরান। শেষ পর্যন্ত তিনি করলেন ১৯ বলে ৬২ রান। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪টি চার এবং ৭টি ছয়। তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ সময় আউট করে সিরাজ বেঙ্গালুরুর আশা জাগালেও লাভ হল না। পুরানের সঙ্গে দলকে ভরসা দিলেন আযুষ বাদোনিও।